নিজস্ব প্রতিনিধিঃ খিচুরি খেতে কে না ভালবাসে! আর বানানোরও কোনও ঝামেলা নেই। আগেকার দিনে মা-ঠাকুমাদের রান্না করতে মন না চাইলে প্রায়ই শোনা যেত, ‘চালে, ডালে একসাথে বসিয়ে দিলাম।’ অর্থাৎ বাড়ির সকলের ক্ষুদা নিবারণের চটজলদি উপায় হল এই খিচুরি। তবে খিচুরিকে যতই সহজ একটা রান্না মনে হোক না কেন? এই খিচুরি দিয়েই কিন্তু যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে নানা এক্সপিরিমেন্ট। নিরামিষ হোক কিংবা আমিষ যুগ যুগ ধরে খিচুরিকে কিন্তু নানা ধরণে, নানা আকারে পেশ করা হয়েছে খাবারের টেবিলে। বাদ যায়নি ঠাকুরবাড়িও। পুজোর নিরামিষ ভোগ হোক কিংবা আমিষ খিচুরি ঠাকুরবাড়ির রান্নাঘরেও এই খিচুরি নিয়ে নানান এক্সপিরিমেন্ট চলেছে যুগ যুগ ধরে। তেমনই একটি রান্না হল ঠাকুরবাড়ির কিমা খিচুরি। খুব সহজ কিন্তু লোভনীয় এই খিচুরি কিন্তু বলে বলে গোল দেবে আজকালকার দিনের বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইসকে। অথচ এটা বানানোও খুবই সহজ। তাহলে আসুন দখে নিই কীভাবে বানাবো এই কিমা খিচুরি।
উপকরণ
১. পাঁঠার মাংসের কিমা ১ কাপ
২. সেদ্ধ চাল ২ কাপ
৩. মুগ ডাল আধা কাপ
৪. পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ
৫. তেজপাতা ২টি
৬. এলাচ ৩টি
৭. দারুচিনি ২টি
৮. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
৯. রসুন বাটা ১ চা চামচ
১০. হলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ
১১. নুন স্বাদমতো
১২. জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
১৩. গাজর আধা কাপ
১৪. আলু আধা কাপ
১৫. জল আধা কাপ
১৬. চিনি ১ চা চামচ
১৭. গরম মসলার গুঁড়া আধা চা চামচ
১৮. আস্ত কাঁচা লঙ্কা ২টি
১৯. তেল আধা কাপ।
পদ্ধতি
একটি বড় প্যানে তেল দিয়ে সেটা গরম করে নিন। এবার একে একে পেঁয়াজ কুচি, তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া, লবণ ও জিরার গুঁড়া মিশিয়ে দিন। এবার হালকা আঁচে ভালো করে মসলাগুলো নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে সুন্দর গন্ধ বেরিয়ে গেলে এবং সেটা পাত্রে লেগে আসলে তাতে সামান্য জল মিশিয়ে নিতে পারেন। কষানো হলে এর মধ্যে মাংসের কিমা মিশিয়ে দিন। আরও একবার ভালো করে মেসান।
এরপর এতে সেদ্ধ চাল, মুগ ডাল, গাজর, আলু ও জল দিয়ে ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ পরে ঢাকনা খুলে পাত্রের মধ্যে চিনি, গরম মসলার গুঁড়া, আস্ত কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ফের ঢেকে দিন। এই সময় আঁচ একদম কম থাকবে। ভাত, ডাল, মাংস সবকিছু সেদ্ধ হয়ে গেলে আরও একবার ভালো করে নাড়িয়ে সেটা পরিবেশন করুন সুস্বাদু কিমা খিচুড়ি।