নিজস্ব প্রতিনিধি: আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগামী ২৫ মার্চ হোলি অর্থাৎ রঙের উৎসব। শীতের শুষ্ক দিনের পর এসেছে বসন্ত, আর এই বসন্ত মানেই বসন্ত উৎসব অর্থাৎ দোল বা হোলি। প্রতি বছর এই দোলের অপেক্ষায় থাকে আপামর বাঙালি। কারণ, দোল উৎসব হল আনন্দ, সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব এবং অবশ্যই প্রেম উদযাপনের দিন। তবে এই উৎসব অসম্পূর্ণ পেটপুজো ছাড়া। তাই আজ জানাবো দোলের দিন মুখরোচক হিসেবে খাবারের তালিকায় কী কী রাখতে পারেন?
মুখরোচক খাদ্য –
সিঙ্গাড়া –
বাঙালিদের সবচেয়ে পছন্দের মুখরোচকের মধ্যে একটি সিঙ্গাড়া। দোলের দিনটা যদি এই খাস্তা মচমচে সিঙ্গারা দিয়ে শুরু হয়, তাহলে জাস্ট জমে যাবে। কলকাতা শহরের লাটুবাবু লেনের গুরুপ্রিয় মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে ফুলকপির সিঙারা রাখতে পারেন তালিকায়।
কচুরি –
উৎসবের সকালে বাঙালির খাদ্য রসনা অধরা থেকে যায় কচুরি ছাড়া। তাই পুরভরা খাস্তা কচুরির সঙ্গে আলুর সব্জি রাখতে পারেন এদিন ব্রেকফাস্টে। এক্ষেত্রে শ্যামবাজারের হরিদাস মোদকের খাস্তা কচুরি বেশ জনপ্রিয়।
মোগলাই পরোটা –
উৎসবের সন্ধেটা জমে যেতে পারে মোগলাই পরোটার সঙ্গে। এই মোগলাই পরোটার শ্রেষ্ঠত্ব খুঁজে পাবেন ধর্মতলার অনাদি কেবিনে।
রসগোল্লা –
রসগোল্লা ছাড়া বাংলার যেকোনও উৎসব অসম্পূর্ণ হয় না। এক্ষেত্রে কলকাতার রসগোল্লা নির্মাণকারী নবীন চন্দ্র দাসের রসগোল্লা রাখতে পারেন তালিকায়।
দরবেশ –
দরবেশ মিষ্টিটি তেমনভাবে জনপ্রিয়তা না পেলেও স্বাদের দিক থেকে কিন্তু অসাধারণ। এক্ষেত্রে হুগলির রিষড়ার ১৭৫ বছরের প্রাচীন ফেলু মোদকের বিপণি থেকে কিনতে পারেন দরবেশ।
লস্যি –
দোল উৎসবে ঠান্ডাই-এর পর যে পানীয়টি বেশ প্রসিদ্ধ তা হলো লস্যি। দই দ্বারা তৈরী এই পানীয়টি একসঙ্গে সুস্বাদু এবং উপকারীও। তীব্র গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে রাস্তার মোড়ে বহু লস্যি বিক্রেতার স্টল বসে, সেখান থেকে কিনে খেতেই পারেন। তাহলে দোল খেলাতেও আসবে দারুণ এনার্জি।