নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাঙালির বৈশাখ মাস নিয়ে এক আলাদাই নস্টালজিয়া রয়েছে। বাংলা বছরের অন্যান্য দিনগুলি বাঙালি মনে রাখুক না রাখুক পয়লা বৈশাখ আর পঁচিশে বৈশাখ মনে রাখবেই। আর তাই বাঙালির পয়লা বৈশাখের বাঙালিয়ানায় সর্বদা ছড়িয়ে থাকে রবিঠাকুর। ঠাকুর বাড়ির রান্না থেকে শুরু করে স্টাইল স্টেটমেন্ট সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে এক আলাদা স্বাদ, গন্ধ, রূপ। ঠাকুরবাড়ির খাবার তাই আধুনিক বাঙালির রান্নাঘর কিংবা খাবার থালায় বিশেষ জায়গা জুড়ে থাকে।
ঠাকুর বাড়ির হেঁশেলে সদা সর্বদা চলত রান্না নিয়ে আলাদা এক্সপেরিমেন্ট। কবিগুরু নিজেও ছিলেন অত্যন্ত খাদ্যরসিক। আজও জোড়াসাঁকোর বাড়ির অন্দরে হেঁশেলটিতে ঢুকলে তার তৈজসপত্র দেখে মুগ্ধ হতে হয়। সেই সময়ে ঠাকুর বাড়ির রমণীরা যে প্রকারে পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে নতুন নতুন পদ রান্না করতেন তার মধ্যে উল্লেখ্য, পাতপাতার ঝোল, মুসুরি ডালের বড়া, ডুমুর আলুর রসা, বকফুলের বড়া, পাতপাতার বড়া। আমিষের মধ্যে কাঁচা ইলিশের ঝোল, ছোলা ও ইলিশের মাথা দিয়ে কচুশাক কিংবা রুই মাছের বাটি চচ্চড়ি। বাংলা নববর্ষে যদি আপনিও এই রান্না করতে চান তাহলে জেনে নিন ঠাকুরবাড়ির রেসিপি, ‘রুই মাছের বাটি চচ্চড়ি’।
উপকরণঃ
রুইমাছঃ ২৫০-৩০০ গ্রাম
তেল- ৩ টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা ৩টি
পাঁচফোড়ন- ১ চা চামচ
তেজপাতা- ২টি
নুন-স্বাদমত
সরষেবাটা- ১চা চামচ,
শুকনো লঙ্কা বাটা – ২ চা চামচ
হলুদ- ১/২ চা চামচ,
জল – আধ কাপ
প্রণালীঃ মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে কড়াইতে তেল গরম করে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। পিতল কিংবা কলাইয়ের বাসনে ভেজে নেওয়া মাছ, কাঁচা লঙ্কা, সমস্ত মশলা, নুন তেজপাতা, পাঁচফোড়ন দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে পাত্রের মুখে ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। ১৫-২০ মিনিট মত ফুটে এলে নামিয়ে ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন রুই মাছের বাটি চচ্চড়ি।