নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সামনেই উৎসবের মরসুম। আর সেই মরসুমের মুখে সাত রাজ্যে করোনার সংক্রমণ রেখচিত্র ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য ওই সাত রাজ্যকে বিশেষ অ্যাডভাইজরি বা পরামর্শ পাঠাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার উপরেও জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব (Union Health Secretary) রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan) দিল্লি (Delhi), কেরল (Kerakla), মহারাষ্ট্র (Maharashtra), কর্নাটক (Karnataka), তেলেঙ্গানা (Telengana), ওড়িশা (Odisha) ও তামিলনাডুর (Tamilnadu) মুখ্যসচিব (Chief Secretary) ও স্বাস্থ্য সচিবকে (Health Secretary) চিঠি পাঠিয়ে করোনার দৈনিক সংক্রমণ লাগাতার বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, যেহেতু সামনে উৎসবের মরসুম রয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে মেলামেশা বাড়বে তাই করোনার সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু করোনাই নয়, অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধিও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে এখন থেকেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। নমুনা পরীক্ষার উপরে যেমন জোর দিতে হবে, তেমনই করোনার টিকাকরণের গতিও বাড়াতে হবে।
চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব (Union Health Secretary) লিখেছেন, গত মাসে অর্থাৎ জুলাইতে কেরলে গড়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৪৭ জন। মহারাষ্ট্রে গড়ে প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ১৩৫ জন। রাজধানী দিল্লিতে ২৯ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে যেখানে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল গড়ে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ, তা ৫ অগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে। জুলাই মাসে দিল্লিতে প্রতিদিন গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ছিল ৮১১ জন, গত ৫ অগস্ট তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০২ জন।