নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা মহানগরীতে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না করোনাভাইরাসের সংক্রমকে। বিশেষ করে অভিজাত এলাকা ও বহুতল আবাসনগুলিতে লাফিয়ে বাড়ছে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুক্রবার শহরে আরও ১৫টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হলো। এ নিয়ে মহানগরীতে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হলো ৪৪। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, অভিজাত এলাকায় সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কনটেনমেন্ট জোন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতায় দাপট দেখাচ্ছে করোনার সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ কখনও সাত হাজার আবার কোনদিন ছয় হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে চলেছে। হু-হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত গলদঘর্ম অবস্থা কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের। পাশাপাশি করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসা ও শবদেহ পোড়ানো নিয়েও সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে শহরবাসীকে। বিশেষ করে নিমতলা শ্মশ্মান ঘাটের এক কর্মীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হেনস্থার ভুরিভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। ফলে নড়েচড়ে বসেছেন পুর প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা।
মারণ ভাইরাসের বেলাগাম সংক্রমণের সময়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে পড়তে না হয়, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি টেলিকলিং পরিষেবা চালু করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভায় ০৩৩ ২২৮৬১২৩৮ নম্বরে ফোন করে করোনা আক্রান্ত রোগীরা নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। তাঁদের সেই সমস্যা শোনার পরে সমাধান বাতলে দেবেন কন্ট্রোল রুমে থাকা পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক ও কর্মীরা। হাসপাতালে ভরতি থেকে আম্বুলান্স, অক্সিজেন সরবরাহ থেকে প্রাথমিক ওষুধ- সমস্ত পরিষেবা মিলবে এই কন্ট্রোল রুম থেকেই।