নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: গোটা বিশ্বে যখন বেলাগাম তাণ্ডব চালাচ্ছিল করোনাভাইরাস তখন তিনিই উৎকণ্ঠিত মানুষের কাছে পরিত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বহুজাতিক ওষুধ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিনের অন্যতম উদ্ভাবক ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক-অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট। শুক্রবার তাঁর কণ্ঠেই শোনা গেল সংশয়ের সুর। করোনাভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতিকে (ভ্যারিয়েন্ট) একটি ভ্যাকসিন মোকাবিলা করতে সক্ষম কিনা তা নিয়ে আশাবাদী নন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-অধ্যাপক।
ঢাকা লিট ফেস্টে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন সারাহ গিলবার্ট। এদিন উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ অডিটোরিয়ামে পাঠক-দর্শকদের সঙ্গে কথোপকথনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এক দর্শকের প্রশ্নের উত্তরে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কার্যত সংশয়ের কথা শোনালেন মারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকার অন্যতম আবিষ্কারক। তাঁর কথায়, ‘আমরা যে ভ্যাকসিন তৈরি করা শুরু করেছি, সেটি নির্দিষ্ট স্পাইক প্রোটিনে কাজ করে। এটি অ্যান্টিবডি তৈরিতে সহায়তা করে, যাতে ভাইরাসকে ঠেকাতে পারে। ভাইরাসকে প্রবেশে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। স্পাইক প্রোটিন বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টে বদলায়। সব ভ্যারিয়েন্টের জন্য একই ভ্যাকসিন তৈরি করতে গেলে হয়তো আমাদের সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হবে।’ বিশ্বে নতুন করে বেলাগাম সংক্রমণ শুরু করেছে মারণ ভাইরাস। আর করোনার নয়া সুনামি রুখতে ব্যাপকহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রেই প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।
গত কয়েক দশকে যে বিজ্ঞান গবেষণার পথ অনেকটাই খুলে গিয়েছে তা উল্লেখ করে সারাহ বলেন, ‘অতীতের সঙ্গে এখন অনেক ফারাক। আগে টেস্ট কিট ছিল না, এখন আছে। পরীক্ষার সময় কমে এসেছে। আমরা এখন চিন্তা ও বিশ্লেষণ করার জন্য অনেক সময় পাই। অথচ একসময় শুধু পরীক্ষা করতেই অনেক সময় চলে যেত।’