নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রমশই কাটছে উদ্বেগ। মিলছে স্বস্তি। রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০০ জন। ৩৬১ দিন বাদে এটাই রাজ্যে করোনার সর্বনিম্ন সংক্রমণ। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৯৯ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুর হারও স্বস্তি দিয়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। তবে সংক্রমণের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা।
সোমবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে আরও ২১ হাজার ৩৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ২৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশে। নতুন করে ২০০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৩ জনে। মারণ ভাইরাসের থাবায় মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন আরও ১১ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২১ হাজার ১৪৩ জন।’
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। আর দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতায় একদিনে আরও ৪৩ জনের শরীরে মারণ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে একজনের। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। প্রাণ হারিয়েছেন চার জন।
করোনাকে জয় করে সুস্থ হওয়ার হার যথেষ্টই আশা জাগাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন এক হাজার ২৮৬ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৭ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৮ দশমিক ৭৩ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে এক হাজার ৯৭টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৪৪৩ জনে।’