নিজস্ব প্রতিনিধি: নমুনা পরীক্ষা বাড়তেই ফের রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করোনার সংক্রমণ। আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় সামান্য বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে নতুন করে আরও ২৩৬ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তবে দৈনিক সংক্রমণ বাড়লেও দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ হার আগের দিনের তুলনায় নিম্নমুখী। গত ২৪ ঘন্টায় করোনার মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন ৯ জন আর পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশে। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা।
সোমবারই রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৩৬১ দিন বাদে সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছিল। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০০ জন। দৈনিক সংক্রমণ স্বস্তি দিলেও সংক্রমণের হার আগের দিনের তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় কিছুটা অস্বস্তি বেড়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। একদিনে নতুন করে ২৭ হাজার ৯৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ। নতুন করে আরও ২৩৬ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৭৮৯ জনে। পাশাপাশি একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৯ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২১ হাজার ১৫২ জন।’
রাজ্যে মারণ ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন আর প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাটিতে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ জন। তবে দীর্ঘদিন বাদে করোনায় মৃত্যুহীন দিনের সাক্ষী থাকল জেলা।
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ২৩৩ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে এক হাজার ছয়টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪৩৭ জনে।’