নিজস্ব প্রতিনিধি: ছুটির দিনে রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ চিত্র অনেকটাই চিন্তা বাড়াল। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় সংক্রমণ সামান্য কমলেও শনাক্তের হার এক ধাক্কায় আড়াই শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। দৈনিক প্রাণহানিও বেড়েছে। বড়দিনের পরের দিনই কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ফের দুশোর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শনাক্তের হার অশনিসঙ্কেত দিচ্ছে।
বড়দিন উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরেই কোভিড বিধির ধ্বব্জা উড়িয়ে উৎসবের নামে মোচ্ছবে মেতে উঠেছিল রাজ্যবাসী। প্রশাসনের সতর্কবানীতে কর্ণপাত না করে মাস্ক ছাড়া ইচ্ছেখুশিমতো ঘুরে বেড়িয়েছে। আর সাধারণ মানুষের বেপরোয়াভাবে উৎসবে সামিল হওয়ার ঘটনায় সিঁদূরে মেঘ দেখেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না তা বোঝা গিয়েছে, স্বাস্ত্য দফতরের করোনা বুলেটিনে।
এদিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। ১৫৫টি ল্যাবরেটরিতে ২২ হাজার ৫৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে দুই দশমিক ৪১ শতাংশে। যেখানে শনিবার শনাক্তের হার ছিল এক দশমিক ৭১ শতাংশ। নতুন করে ৫৪৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৬২৬ জনে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আরও পাঁচজন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৭১৬ জন।’
কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ফের দুশোর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় কল্লোলিনী তিলোত্তমায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৯ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। কলকাতার লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায় আরও ৮৩ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যদিও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে টানা দুদিন মৃত্যুশূন্য দিন পার করল বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলা।
উদ্বেগের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে দৈনিক সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৪৭ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৬ লক্ষ ৩ হাজার ৪৬০ জন। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে আটটি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৪৫০টি।