নিজস্ব প্রতিনিধি: পেগাসাস ও কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা না করায় সংসদে আন্দোলন করে ২০ জন সাংসদ। অনেকে নিজেদের বসার টেবিলে উঠে জামা খুলে ঘোরাতে থাকেন। সেই সমস্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বাদল অধিবেশনেই আর্জি জানায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। কক্ষের ভিতরে এই অভব্য আচরণের ভিত্তিতে মার্শাল দিয়ে বাদল অধিবেশনেই বের করে দেওয়া হয়। আর কেন্দ্রের করা আর্জির ভিত্তিতে সংসদে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড থাকবেন ১২ জন সাংসদ। যার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ শান্তা ছেত্রী ও দোলা সেন, শিবসেনারভ দুই সাংসদ, সিপিএম ও কংগ্রেসের কিছু সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যসভায় অভব্য আচরণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা, কংগ্রেস ও সিপিএমের মিলিয়ে মোট ১২ জন সাংসদকে গোটা শীতকালীন অধিবেশন জুড়ে সাসপেন্ড থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত ১১ অগস্ট একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্যসভায় অশান্তির সৃষ্টি হয়। ওয়ালে নেমে আন্দোলন করেন ২০ জন সাংসদ। আর সেই ঘটনায় নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু ১২ সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন।
১২ জন সাংসদের মধ্যে রয়েছেন দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, এলামগর করীম, ফুলান দেবী নিজাম, রিপুন বোরা, বিনয় বিশ্বাস, রাজামনি প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন, অনিল দেশাই, অখিলেশ প্রসাদ সিংহ।