এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

৫ রাজ্যের ভোট পিছিয়ে দিতে পারে গেরুয়া শিবির

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে(National Politics) রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে দুটি বিষয়ে। এক, সাধারন নির্বাচন(General Election 2024) এগিয়ে আনা এবং দুই, এক দেশ এক নির্বাচন বাস্তবায়িত করা। সেই সম্ভাবনা কার্যত আরও মাথাচাড়া দিয়েছে দুটি ঘটনাকে ঘিরে। এক, হুট করে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সংসদের অধিবেশন ডাকা এবং দুই, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার বিষয়টি। কিন্তু সত্যিই কী ২০২৪’র মার্চ-এপ্রিলের পরিবর্তে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই সাধারন নির্বাচন হয়ে যেতে পারে? সম্ভবত নয়। গেরুয়া শিবির সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) চাইলেও সাধারন নির্বাচন এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে সায় নেই সঙ্ঘের(RSS)। কেননা ২০০৪ সালের অভিজ্ঞতা। সেই সময় অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার সাধারন নির্বাচন ৬ মাস এগিয়ে এনেছিল। কেননা পদ্মশিবিরের সেই সময় ধারনা ছিল, বিজেপি(BJP) ভোটে জিতবে। বাস্তবে তা হয়নি। বিজেপি ক্ষমতা থেকে সরেছিল, এসেছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। 

তাহলে বিজেপি কী ভাবছে? সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারন নির্বাচন এগিয়ে আনা হবে না। তবে সেই নির্বাচনের সঙ্গে যতটা বেশি সম্ভব রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন করিয়ে নেওয়া হবে। তাতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। এক, নরেন্দ্র মোদির ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতির কিছুটা হলেও বাস্তবায়ন ঘটানো যাবে এবং দুই, বিরোধীদের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া যাবে। আর সেই কারণেই চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশের যে ৫টি রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা আছে সেই নির্বাচনগুলি পিছিয়ে ২০২৪’র লোকসভার ভোটের সঙ্গেই করাতে চাইছে পদ্মশিবির। সংবিধান অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি চাইলে সাধারন নির্বাচন এবং বিধানসভার নির্বাচন ৬ মাস এগিয়ে আনতে পারে বা পিছিয়ে দিতে পারে। সেই হিসাবে চাইলে মোদি সরকার সাধারন নির্বাচন ২০২৪’র জায়গায় ২০২৩’র শেষ দিকে করিয়ে নিতেই পারে। তাতে আইনত কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, তাতে সায় নেই সঙ্ঘের। তাঁরা কোনও ভাবেই ২০০৪’র পুনঃরাবৃত্তি চাইছেন না। সঙ্ঘের এই আপত্তি এড়িয়ে মোদিও একতরফা কিছু করতে চাইবেন না বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা।

এই অবস্থায়, বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচন ৬ মাস পিছিয়ে দিয়ে ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে করতে। কেননা, সেই সময় দেশের আরও ৪টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। সেই ৪টি রাজ্য হল – অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ। আবার আগামী বছর মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানাতেও বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। ভোট করাতে হবে জম্মু বিধানসভার এবং কাশ্মীর বিধানসভারও। অর্থাৎ আরও ৪টি বিধানসভার নির্বাচন। এইসবগুলিকেই লোকসভার নির্বাচনের সঙ্গে করিয়ে ফেলতে চাইছে বিজেপি। যার অর্থ ২৪’র ভোটে লোকসভার পাশাপাশি দেশের মোট ১৩টি রাজ্যের বিধানসভার ভোট হতে পারে। কার্যত সেই হিসাবে দেশের অর্ধেক এলাকায় লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন একসঙ্গেই হবে। বিজেপির নেতাদের দাবি, যদি এই নীতিতেই শেষ পর্যন্ত সঙ্ঘ ও মোদি সরকার শিলমোহর দেয় তাহলে বিরোধীদের পক্ষে খুবই মুশকিল হয়ে পড়বে তা সামাল দিতে। তাঁরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে নাকি রাজ্যের ক্ষমতা আগলাবে সেটাই ভেবে উঠতে পারবে না বলে অভিমত পদ্ম শিবিরের নেতাদের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা স্যাম পিত্রোদার

চতুর্থ দফার ভোটে ২৮ শতাংশ প্রার্থীই কোটিপতি

পুঞ্চেতে বায়ুসেনার উপরে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ

কেজরির অন্তর্বর্তী জামিন নিয়ে শুক্রে রায় সুপ্রিম কোর্টের

ভ্রমণ অ্যাপে সব থেকে বেশি খোঁজ  লাক্ষাদ্বীপ এবং অযোধ্যার

সমাজমাধ্যমে বিতর্কিত পোস্টের দায়ে জেপি নাড্ডাকে তলব কর্নাটক পুলিশের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর