নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: মরাঠাদের জন্য সংরক্ষণ নিয়ে ক্রমশই চাপ বাড়ছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উপরে। ইতিমধ্যে সংরক্ষণের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে ইস্তফা দিয়েছেন তাঁর শিবিরের দুই সাংসদ হেমন্ত পাতিল ও হেমন্ত গডসে। দুই জনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরও একাধিক সাংসদ-বিধায়ক ইস্তফা দিতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
মরাঠাদের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে গত বুধবার থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন সমাজকর্মী মনোজ জাংরে। সোমবার তাঁর অনশন ছয়দিনে পা দিয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই পরিস্থিতি বিগড়োচ্ছে। সংরক্ষণের দাবিতে বিক্ষোভ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। গতকাল রবিবারই ইয়াবাতমালে বিক্ষোভকারীরা হিঙ্গোলির শিবসেনা সাংসদ (শিন্ডে গোষ্ঠী) হেমন্ত পাতিলের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি মরাঠা সংরক্ষণ নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানান। বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে লোকসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন। একটি পদত্যাগপত্র লিখে বিক্ষোভকারীদের হাতেও তুলে দেন।
এদিন একটি সর্বভারতীয় বার্তা সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হিঙ্গোলির সাংসদ জানান, ‘লোকসভার সচিবালয়ে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। অধ্যক্ষ ওম বিড়লা না থাকায় তাঁর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিতে পারেননি’। হিঙ্গোলির সাংসদ হেমন্ত পাতিলের দেখানো পথে হেঁটেছেন নাসিকের শিবসেনা (শিন্ডে গোষ্ঠী) সাংসদ হেমন্ত গডসেও। তিনি অবশ্য দলের প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। চিঠিতে অবিলম্বে মরাঠাদের জন্য সংরক্ষণ ঘোষণা করারও দাবি জানিয়েছেন।