নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল (মধ্যপ্রদেশ): দুটি মাদ্রাসা। ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৪০। এই ৪০ জন পডু়য়ার মধ্যে ২৪ পড়ুয়ার জন্ম তারিখ এক। এরা সকলের বাড়ি বিহারে। সেখান থেকে ভোপালে এসেছিল মাদ্রাসায় ভর্তি হবে বলে। মধ্যপ্রদেশ শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের (Madhya Pradesh Commission for Protection of Child Rights )এ ক প্রতিনিধিদল সম্প্রতি দুই মাদ্রাসার পঠন-পাঠন এবং সেখানকার পরিবেশ খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষণে গিয়েছিল। আর সেই পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা দেখে কমিশনের প্রতিনিধিদলের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
কমিশনের সদস্য ব্রজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, যে ২৪ পডু়য়াকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাদের জন্মের শংসাপত্র নেই। গ্রাম প্রধানের সই করা চিঠির ভিত্তিতে এরা মাদ্রাসায় (Madrasa) (ভর্তি হয়েছিল। শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৫-য়ের মধ্যে। কয়েকজনের বাড়ি পুর্ণিয়ায়, কয়েকজনের বাড়ি মধুবনীতে। এদের পরিচয়পত্র বলতে শুধুমাত্র আধারকার্ড।
এই দুটি মাদ্রাসা রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ডের ( State Madrasa Board) অন্তর্ভুক্ত। অন্যান্য মাদ্রাসায় যে সব পডু়য়া বাইরে থেকে পড়তে আসে, তাদের জন্য থাকে হস্টেল (hostels) । এই দুটি মাদ্রাসায় ((Madrasa) হস্টেল বলতে টিনের চাল দিয়ে ঘেরা কয়েকটি জায়গা। শৌচালয় নেই। কয়েকজন পড়ুয়া শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছে, বিহারের একটি স্কুলে তারা অনেক আগেই ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু পরিবারে চাপে তাদের মাদ্রাসায় ভর্তি হতে হয়েছে শুধুমাত্র ধর্ম সংক্রান্ত শিক্ষার জন্য।
কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশকে আর্জি জানিয়েছে। পাশাপাশি বিহার শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনকেও চিঠি পাঠিয়েছে।
আরও পডু়ন উত্তরপ্রদেশের সব মাদ্রাসায় সকালে জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক, নির্দেশ যোগী সরকারের