নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেখতে দেখতে ৪০ ঘণ্টা পার করেছে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের রোপওয়ে দুর্ঘটনা। রবিবার বিকেলে হঠাৎই দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ের রোপওয়ের দুটি ট্রলির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় এবং তারপরই পুরপুরি বন্ধ হয়ে যায় পরিষেবা। মাঝ আকাশেই আটকে পড়েন অন্ততপক্ষে একশো জন যাত্রী। রবিবার রাত থেকেই তাঁদের উদ্ধার করার কাজ শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনার একটি বিশেষ উদ্ধারকারী দল। কিন্তু এই জানা যাচ্ছে, এই দুর্ঘটনার পরে প্রায় ৪০ ঘণ্টা কেতে গেলেও এখনও শূন্যে ঝুলন্ত অবস্থায় আটকে রয়েছেন ৬ জন যাত্রী। তাঁদের এখনও নীচে নামিয়ে আনা সক্ষম হয়নি বলে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা জানিয়েছেন। এদিকে সোমবার রাতেই এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেরে ৩ হয়েছে বলে খবর।
দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাথ ভজনত্রি এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় বায়ু সেনা, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা (এনডিআরএফ) সম্মিলিতভাবে এই উদ্ধারকাজ অভিযান চালাচ্ছে। সোমবার সকালে যখন এই দুর্ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে তখন জানা গিয়েছিল যে মাঝ আকাশে আটকে রয়েছেন প্রায় ৪০ জন যাত্রী। তাঁদের উদ্ধারে সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি হেলিকপ্টারকে যুক্ত করা হয়। ওই হেলিকপ্টারের মাধ্যমেই যাত্রীদের এক এক করে এয়ারলিফট করে নীচে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। এইভাবেই সারাদিন ধরে চলেছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু এই ঘটনার ৪০ ঘণ্টা পরেও ৬ জনকে এখনও নীচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধারের সময় একজন যুবক হেলিকপ্টার থেকে পড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনার পরেই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় উদ্ধারকাজ। রাতের অন্ধকারে অভিযান চালানো সম্ভব নয় বলে সূর্যাস্তের পরেই অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন উদ্ধারকারী অফিসাররা। এরপর মঙ্গলবার সকালে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই ফের শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন রোপওয়ে দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়ে একটি টুইট করে বলেন, ‘আমি ত্রিকূট পর্বতের ঘটনা এবং এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি। এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে।’