নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: ঘূর্ণিঝড় মিচাউংয়ের প্রভাবে রবিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে প্লাবিত চেন্নাইয়ের একাধিক এলাকা। বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন আমজনতা। থমকে গিয়েছে বিমান পরিষেবা। ইতিমধ্যেই লাগাতার বৃষ্টির ফলে পাঁচিল ভেঙ্গে পড়ে মারা গিয়েছেন দুই জন। আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে গাছ চাপা পড়ে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে বলে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে প্রশাসন।
অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে ঘূর্ণিঝড় মিচাউং তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামিকাল মঙ্গলবার দুপুরে নেলোর এবং মছলিপত্তমের মধ্যবর্তী স্থলভাগে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি। কার্যত তাণ্ডব চলছে। চেন্নাইয়ে কোথাও হাঁটু সমান আবার কোথাও কোমর সমান জল জমেছে। একাধিক জায়গা থেকে জলবন্দি সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি অফিসগুলোতে বাড়ি থেকে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। সোমবার সকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত তামিলনাড়ুর মীনামবাক্কামে ১৯৬ মিলিমিটার এবং নুঙ্গামবাক্কামে ১৫৪ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। নাগাপত্তনম, থিরুভাল্লুর, কুড্ডালোর, চেঙ্গালপট্টুর পরিস্থিতিও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
রানওয়েতে জল জমায় চেন্নাই বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে রাত এগারোটা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছিল। সন্ধেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিমান ওঠা-নামা স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকে ফোন করে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।