নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উত্তর ভারতে চলছে শৈত্য প্রবাহ। আর তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কুয়াশা। তাতেই ব্যাহত হয়েছে ট্রেন এবং বিমান পরিষেবা। এরফলে নানান অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। মঙ্গলবার ঘন কুয়াশার কারণে দিল্লিতে প্রায় ৩০টি ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাহত হয়েছে ৩০টি বিমান চলাচল এবং বাতিল হয়েছে ১৭টি বিমান। এরফলে হাজার হাজার যাত্রী বিমানবন্দর এবং রেল স্টেশনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পালাম এবং সফদরজং বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে গিয়েছিল। এদিন ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে পাঞ্জাব থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে হরিয়ানা, উত্তর মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার। বিমানবন্দরের দেওয়া তথ্য অনুসারে মঙ্গলবার দৃশ্যমানতা ছিল বারাণসীতে ০০ মিটার, আগ্রাতে ০০ মিটার, গোয়ালিয়রে ০০ মিটার, জম্মুতে ০০ মিটার, পাঠানকোটে ০০ মিটার, চণ্ডীগড়ে ০০ মিটার,গয়ায় ২০ মিটার, প্রয়াগরাজে ৫০ মিটার, তেজপুরে ৫০ মিটার, আগরতলায় ১০০ মিটার, বিজয়ওয়াড়ায় ১০০ মিটার এবং বাগডোগরা ১০০ মিটার।
দীর্ঘ সময় বিমান ব্যাহত এবং বাতিলের কারণে যাত্রীরা বিমানবন্দরে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। এক যাত্রী জানিয়েছেন, ‘আমার ফ্লাইট সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখন সকাল সাড়ে ১০টায় ছাড়বে বলে জানা গিয়েছে।‘প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সোমবার পাঁচটি বিমানের গতিপথ পরিবর্তন এবং ১০০টিরও বেশি বিমান বাতিল হয়েছিল। ঘন কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে রানী কমলাপতি-হযরত নিজামুদ্দিন বন্দে ভারত এবং হাওড়া-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস সহ প্রায় ৩০টি ট্রেন দেরিতে চলে। আর সেইকারণেই বেশ কয়েকজন যাত্রী নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে আটকে পড়েন। মঙ্গলবার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর মঙ্গলবার এবং বুধবার দিল্লিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে।