নিজস্ব প্রতিনিধি: নজীরবিহীন বললেও কম বলা হয়। স্বাধীনতার পরে কবে এই দৃশ্য শেষবার দেখা গিয়েছে তা কেউই বলতে পারছেন না। সব রীতিনীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গায়ের জোরে কার্যত দেশের সংসদের(Parliament) দুটি কক্ষেরই দখল নিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার ও তাঁর দল। সেই লক্ষ্যেই কাতারে কাতারে বিরোধী দলের সাংসদদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হচ্ছে সংসদের উভয় কক্ষ থেকেই। এদিন অর্থাৎ সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের(Winter Session) মধ্যেই লোকসভা(Lokshabha) থেকে ৩৩ আর রাজ্যসভা(Rajyasabha) থেকে ৪৫জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে কার্যত এক কালো অধ্যায়ের জন্ম দিল মোদি সরকার। দেশের গণতন্ত্রের পীঠস্থানেই খুন করা হল গণতন্ত্রকে। বিজেপি বিরোধী দলগুলির মোট ৭৮জন সাংসদকে(78 MP Suspended) একদিনে সাসপেন্ড করে কার্যত মোদি সরকার দেশকে এই বার্তাই দিল, তাঁরা গায়ের জোরে যা খুশি তাই করবে। কেউ কোনও প্রতিবাদ করতে পারবে না। কোনও প্রতিবাদ মেনে নেওয়া হবে না।
বস্তুত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন জুড়েই সাসপেন্ড নীতিকে হাতিয়ার বানিয়েছে গেরুয়া শিবির। সামান্যতম প্রতিবাদ করলেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হচ্ছে বিরোধী দলের সাংসদদের। কার্যত বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মোদি বাহিনী যা খুশি করবে, কিন্তু কেউ তার কোনও প্রতিবাদ করতে পারবে না। প্রতিবাদ করলেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে। দুই কক্ষের এদিন যে ৬৭জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রায় সবাইকেই গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভার যে ৩৪জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে আছেন মৌসম বেনজির নুর, সামিরুল ইসলাম, নাদিমুল হক, সুখেন্দু শেখর রায়, জয়রাম রমেশ, রণদীপ সূর্যেওয়ালা, মনোঝ ঝা, কানিমোঝি, প্রমোদ তিওয়ারি, আমি যাজ্ঞিক, নারায়ণভাই রাঠোয়া, শক্তি সিন গোহিল, রাজনী পাতিল, এন পনমুগম, নাসির হোসেন, ফুলদেবী নেতাম, ইমরান প্রতাপগড়ি, রামগোপাল যাদব, রঞ্জিত রঞ্জন, রামনাথ ঠাকুর, অনিল হেগড়ে, বন্দনা চহ্বান প্রমুখ। এছাড়াও মহুয়া মাঁজি, অজিত কুমার, ফৈয়াজ আমজাদও রয়েছেন। উল্লেখ্য চলতি অধিবেশনে এখনও পর্যন্ত সংসদের উভয় কক্ষ মিলিয়ে মোট ৯২জন সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন।