নিজস্ব প্রতিনিধি, শাদুল (মধ্যপ্রদেশ): পোশাক নোংরা। সেই পোশাক পরে স্কুল আসায় ছাত্রীকে সকলের সামনে পোশাক খুলে তা পরিষ্কার করার নির্দেশ দিলেন মাস্টারমশাই। পোশাক ঠিকঠাক সাবান পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। পরে সেই পোশাক রোদে মেলার নির্দেশ দেওয়া হল। আর ছাত্রী খালি গায়ে শুধুমাত্র তাঁর গোপন অঙ্গ ঢেকে ক্লাস করলেন।
কুকীর্তি আরও আছে। মাস্টারমশাই সেই ঘটনা মোবাইলে বন্দি করে বিভাগের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি নিজেকে স্বচ্ছতামিত্র বলে অভিহীত করেন। ঘটনার কথা পাঁচকান হতেই রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষকের নাম সরন কুমার ত্রিপাঠি।
নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার, সার্দুল জেলার উপজাতিদের একটি সরকারি স্কুলে। পড়ুয়া পঞ্চম শ্রেণির। শিক্ষকের এই মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি এসে ওই পড়ুয়া বিষয়টি অভিভাবককে জানায়। অভিভাবক গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। খবর কানে যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পদস্থকর্তাদের কানে। তারা রাতারাতি ওই শিক্ষককে রাতারাতি সাসপেন্ড করে। মধ্যপ্রদেশ উপজাতি কল্যাণের সহকারি কমিশনার আনন্দ রাই জানিয়েছেন, তিনি ওই খবর শোনার পরে পরেই ওই শিক্ষককে সাসপেন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। স্কুলের তরফ থেকে ঘটনার সবিস্তার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে দিকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে বলা হয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর বাদেও উপজাতিদের এখনও ঘৃণার চোখে দেখা হয়, সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল।