নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: গুন্ডামি কারে কয় ফের দেখাল অমিত শাহের অধীনস্ত দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে কৃষি ভবনে অবস্থানে বসা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদ-মন্ত্রীদের কার্যত চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে গিয়ে আটক করল দিল্লি পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী-সাংসদের গায়ে হাতও তোলার অভিযোগ উঠেছে অমিত শাহের পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনকি বেশ কয়েকজন সাংসদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতারা। প্রিজন ভ্যানে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অভিষেকদের।
পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি মেনেই এদিন সন্ধে ছয়টা ১০ মিনিট নাগাদ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে কৃষি ভবনে হাজির হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের ৪০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কিন্তুউ সময় দেওয়া সত্বেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি কেন্দ্রীয মন্ত্রী। এর পরেই প্রতিবাদ জানাতে মন্ত্রীর দফতরের সামনে অবস্থানে বসেন অভিষেক সহ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা না করেই দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। তার পরেই কৃষি ভবনে প্রবেশ করে দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনী।
অবস্থানরত তৃণমূল সাংসদ-মন্ত্রীদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসভ্যতামি শুরু করে দেয় দিল্লি পুলিশের কর্মী-আধিকারিকরা। ধাক্কা মারতে মারতে শান্তনু সেন, ডেরেক ও’ ব্রায়েন, অপরূপা পোদ্দারদের হঠিয়ে আটক করে গাড়িত্বে তোলা হয়। তুলাকালাম বেঁধে যায় কৃষি ভবনের করিডরে। অভিষেককে ধরেও টানাটানি করতে থাকে শাহের বিশ্বস্ত ভৃত্য বাহিনী। দলের সাধারণ সম্পাদককে বাঁচানোর চেষ্টা চালান দোলা সেন-বীরবাহা হাঁসদারা। কিন্তু তাঁদের সেই প্রতিরোধ কাজে আসেনি। খানিকবাদেই অভিষেক-সহ কৃষি ভবনের করিডরে ধর্নারত তৃণমূল সাংসদ-মন্ত্রীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, একাধিক সাংসদ-বিধায়কের গায়ে হাত তোলার পাশাপাশিও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করেছে দিল্লি পুলিশের খার্কি উর্দিধারী সরকারি ‘গুন্ডাবাহিনী।’