নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এলেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। সম্প্রতি প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, চতুর্থ স্থান থেকে একধাপ উঠে তিন নম্বরে চলে এসেছেন আদানি। এই তালিকার শীর্ষে যথারীতি রয়েছেন টেসলা প্রধান এলন মাস্ক। প্রথম এশীয় ব্যক্তি হিসাবে এই তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করলেন আদানি। তালিকায় এগারো নম্বরে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্স প্রতিদিন বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করে। সোমবারের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, লুই ভিতোঁর প্রধান বার্নার্ড আর্নল্টকে পিছনে ফেলে তিন নম্বরে উঠে এসেছেন গৌতম আদানি। ওই তালিকার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আদানির সম্পত্তির মোট পরিমাণ ১২ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। সেখানেই বলা হয়েছে, প্রথম এশীয় ব্যক্তি হিসাবে ব্লুমবার্গ তালিকার প্রথম তিনে ঢুকেছেন আদানি। ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ। রিলায়েন্স এবং টাটা গোষ্ঠীর পরেই এদেশে রয়েছে আদানি গ্রুপের নাম। সম্প্রতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে আদানি গোষ্ঠী। বাংলাদেশে আদানি গোষ্ঠী বিদ্যুৎ রফতানি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে শ্রীলঙ্কাতেও বায়ুশক্তি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছিল আদানি গোষ্ঠী।
তবে ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আদানির এহেন সক্রিয়তার ফলে বিপদ বাড়বে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, আক্রমণাত্মক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের টেক্কা দিতে চাইছেন আদানি। সেই কারণেই উচ্চাকাঙ্ক্ষার বশে ঋণ নিতেও পিছপা হবে না তারা। সব মিলিয়ে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গোষ্ঠীর ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ার আদানিদের হাতে চলে গিয়েছে বলে মঙ্গলবার গুঞ্জন শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ট্রেন্ডিং হতে থাকে। পরে এনডিটিভির তরফে জানানো হয়, যে পদ্ধতিতে তাদের সংস্থার শেয়ার করায়ত্ত্ব করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তা আইনসম্মত নয়।তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আদানি গোষ্ঠীর অতীত রেকর্ড বেশ ভাল। কিন্তু অত্যধিক আগ্রাসী মানসিকতাই তাদের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
