নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হল নামিবিয়া থেকে আরও একটি চিতার। মঙ্গলবার সকালেই অসুস্থ অবস্থায় এনক্লোজারে পড়ে থাকতে গিয়েছিল শৌর্য নামে চিতাটিকে। চিকিৎসকের যাবতীয় চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে দুপুরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কী কারণে শৌর্যের মৃত্যু তা জানা যায়নি। কুনো জাতীয় উদ্যানের অধিকর্তা জানিয়েছেন, ‘ময়না তদন্তের পরেই নামিবিয়া থেকে আনা চিতা শৌর্যের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’ এ নিয়ে গত ১০ মাসে কুনো জাতীয় উদ্যানে ১০টি চিতার মৃত্যু হলো। একের পর এক চিতার মৃত্যুর ফলে কুনোয় বর্তমানে ১৪টি চিতা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প ‘প্রজেক্ট চিতা’র অংশ হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি এবং নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয়েছিল। ২০টি চিতাই ছাড়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় অভয়ারণ্যে। গত মার্চে নামবিয়া থেকে আনা স্ত্রী চিতা ‘জ্বালা’ চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। ফলে চিতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৪। কিন্তু গত মার্চ মাসের শেষের দিকেই চিতার মৃত্যুমিছিল শুরু হয়। ২৭ মার্চ কিডনিতে সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা পাঁচ বছর বয়সী স্ত্রী চিতা শাসার। আর তার এক মাস যেতে না যেতে গত ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা উদয়। পুরুষ চিতাটির মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ‘কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর’-কে।
গত ৯ মে মৃত্যু হয় দক্ষ নামে আরও এক চিতার। যৌন মিলনের জন্য এক নম্বর খাঁচা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল দক্ষকে। আর সাত নম্বর খাঁচা থেকে বায়ু ও অগ্নি নামে দুই পুরুষ চিতাকে ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই হিংস্র হয়ে দক্ষকে আক্রমণ করে দুই পুরুষ চিতা। গুরুতর জখম হয় দক্ষ। কিন্তু চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। দক্ষের মৃত্যুর ১৫ দিন যেতে না যেতেই গত মঙ্গলবার এক চিতা শাবকের মৃত্যু হয়। গত ২৫ মে আরও দু্ই শাবকের মৃত্যু হয়। গত অগস্টে মারা গিয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা ধাত্রী নামে এক চিতা।