নিজস্ব প্রতিনিধি: ওড়িশায় বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার ফলে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৩৩। আহত হয়েছেন ৯০০ জন মানুষ। শুক্রবারের দুর্ঘটনা ফিরিয়ে আনল ১৪ বছর আগের ভয়াবহ স্মৃতি। ২০০৯ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেবারেও ঘটনাস্থল ছিল ওড়িশাই। ১৪ বছর আগের সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জন মানুষের।
২০০৯ সালে ট্রেনটি দ্রুতগতিতে ওড়িশার জাজপুর রোড রেল স্টেশন (Jajpur Road railway station) ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রাক পরিবর্তনের সময় ট্রেনের ইঞ্জিনটি একটি ট্র্যাকে গিয়ে উল্টে যায়। ইঞ্জিন থেকে বগিগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৭টা ৪০ মিনিটের মধ্যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
উল্লেখ্য করমণ্ডল এক্সপ্রেস শালিমার থেকে চেন্নাই পর্যন্ত যায়। ২৭ ঘন্টা পাঁচ মিনিটে মোট ১৬৬২ কিলোমিটার পথ যাত্রা করে ট্রেনটি। ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা। শুক্রবারের দুর্ঘটনা শুধু সাম্প্রতিক সময়ে নয়, স্বাধীনতার পর থেকে বড় দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে ইতিহাসে জায়গা করে নিল। ১৯৯৯ সালের গইসাল এক্সপ্রেস বা ২০১০ সালের জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মতোই মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। গইসাল এক্সপ্রেস এবং জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছিল।