নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবার সকাল ১০টা ৩০ নাগাদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে হবে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি। এমনটাই জানা গিয়েছে আম আদমি পার্টির তরফ থেকে । এদিন কেজরিওয়ালের হয়ে সিনিয়র আইনজীবী এএম সিংভি ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের আবেদন জমা করে । তারা বলেন ,এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেইজন্য খুবই জরুরি। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানান হয়, ‘ জরুরী আবেদনের জন্য ইমেল করুন।’
প্রথমে গ্রেফতারি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেজরিওয়াল। আর সেখানে স্বস্তি না পেয়েই গেলেন সুপ্রিম কোর্টে। তবে এদিন সুপ্রিম কোর্ট কি রায় দেয় , সেটাই এখন মূল বিষয়।গত ২১ মার্চ দিল্লি হাইকোর্ট গ্রেফতারি থেকে রক্ষকবচের আর্জি খারিজ করে দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ওই গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজনীতি। গ্রেফতার হলেও জেলে বসেই কেজরিওয়াল সরকার চালাবেন বলে আম আদমি পার্টির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। টানা ১১ দিন ইডি হেফাজতে থাকার পরে গত ১ এপ্রিল আপের জাতীয় সমন্বয়ককে ১৫ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজা। ওই নির্দেশের পরেই তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।
ইডির গ্রেফতারি ও হেফাজতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। গত ৩ এপ্রিল মামলার শুনানি শেষে রায় দান স্থগিত রাখেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা। এদিন রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘আইনে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী হোন কিংবা সাধারণ মানুষ, সবাইকে তদন্ত ও জেরার মুখোমুখি হতে হবে। গ্রেফতারি কখন করা হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা আইন মেনেই গ্রেফতার করেছে ইডি। এই গ্রেফতারি সঠিক সিদ্ধান্ত।’