নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তপ্ত নাগাল্যান্ড, অসম রাইফেলেসের গুলিতে শনিবার রাতেই প্রাণ হারায় ১৩ জন গ্রামবাসী। রবিবার রাতে আরও একজনের মৃত্যুর খবর আসে। রবিবার সারাদিন এই ঘটনায় উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। শনিবার রাতেই উন্মত্ত গ্রামবাসীরা অসম রাইফেলেসের এক জওয়ানকে খুন করে। সেই কারণেই নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনীর তরফে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় নাগালাণ্ডে। গ্রামবাসীরা তেড়ে যায় অসম রাইফেলসের তাঁবুর দিকে। হামলা চালানো হয়, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় মুন জেলায় আপাতত ইন্টারনেট বন্ধ, কার্ফু জারি রয়েছে, ফোনে মেসেজ পাঠানো যাবে না। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
অসম রাইফেলসের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নেইফিও রিও। শনিবার রাতে নাগাল্যান্ড ও মায়ানমারে জঙ্গিগোষ্ঠীর খোঁজে অভিযানে যায় অসম রাইফেলসের বাহিনী। সেখানেই একটি টেম্পোতে কয়লা খনি থেকে কাজ করে ফিরছিলেন কিছু শ্রমিক। সাত পাঁচ না ভেবেই গুলি চালায় অসম রাইফেলসের বাহিনীরা। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩ জন গ্রামবাসীর। নাগাল্যান্ড ইস্যুতে গলাবুক জলে ডুবে মোদি সরকার। নিরাপত্তা বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা চিনতে ভুল করেছে। বাহিনীর যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে- এতো বড়ো ভুল হয় কী করে?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি আশ্বাস দিয়েছেন সিট গঠনের। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ওই ঘটনার উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনায় হতদের পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা। যথাযথ তদন্ত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ন্যায়বিচার পাবে’।