নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) মাটিতে দাঁড়িয়েই আবারও নাম না করেই দেশের প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister of India) নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) নিশানা বানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister of Bengal) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে নিশানা বানালেন বিজেপিকেও। নিশানা বানিয়েছেন কেন্দ্রের সরকারকেও। ২৪’র ভোটের আগে বাংলার মাটিতে কার্যত বিজেপিকে আক্রমণের সুর কোন পর্যায়ে থাকবে, কোন কোন ইস্যু নিয়ে মোদি সরকারকে(Modi Government) নিশানা বানানো হবে, সেই সবই এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গার বুকে অনুষ্ঠিত তৃণমূলের কর্মীসভা থেকে বেঁধে দিলেন মমতা। সেখানে থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা বানিয়ে তাঁর নাম না নিয়েই মমতা বলেন, ‘পিএম কেয়ার ফান্ডে কত টাকা, কেউ জানে না। কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে, দেশটাকে বেচে দিচ্ছে। সংসদে ১৫০জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমন অত্যাচার আগে কোনওদিন হয়নি। কিন্তু মনে রাখবেন, ক্ষমতায় কিন্তু আমরাই থাকব, সব লক্ষ্য রাখব। ভুল বুঝবেন না, আমি আপনাদের পাহারাদার ছিলাম, আছি এবং থাকব।’
এদিন কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বাংলাকে দেয়নি, তা সত্ত্বেও ৪৫ দিন কাজ করিয়েছি। ২০২১-এ যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সব কাজ শুরু হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকার ট্যাক্স তুলে নিয়ে যাচ্ছে, অথচ টাকা দিচ্ছে না। ‘যত ইডি-সিবিআই ঢোকাচ্ছে, তত বিজেপির ঘরে টাকা ঢুকছে। দেশে এজেন্সির গণতন্ত্র চলছে।’ এর পাশাপাশি বিজেপিকে নিশানা বানিয়ে মমতা বলেন, ‘বিজেপি(BJP) সবাইকে দেখলে বলছে চোর-চোর। বলছে, তৃণমূলের সব নেতাদের জেলে ভরো। নেতাদের জেলে ভরছে যাতে নির্বাচনের কাজ করতে না পারে। বালুকে গ্রেফতার করেছে, যাতে দলের কাজ করতে না পারে। আর ওদের নেতারাই বলছে গ্রেফতারি বাড়াও, না হলে জেতা যাবে না। বিজেপিতে গেলেই ওয়াশিং মেশিনে পরিষ্কার আর তৃণমূল করলেই জেলে ভরো! বিজেপির কতজন চোর জেলে গিয়েছে? প্রত্যেকটা প্রকল্পে ওরা কত কমিশন খায় জেনে রাখবেন।’
২৪’র ভোটে যাতে কোনও ভাবেই বাংলায় বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ না হয় সেই লক্ষ্যে মমতা বলেন, ‘ভোটের সময় বড় বড় কথা বলে ভোট চাইতে আসে। কিন্তু বাংলার কবে কী করেছে ওরা? বাংলার মানুষদের জন্য কী করেছে? মতুয়া ঠাকুরবাড়ির উন্নয়ন আমরা করেছি, আর কেউ করেনি। নাগরিকত্ব নিয়ে সমাজে ভাগাভাগির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সকলকে পাট্টা দিচ্ছি, যাতে তাঁদের উদ্বাস্তু হয়ে থাকতে না হয়।তোমরা আজ আছো কাল নেই। বিজেপি- সিপিএম-কংগ্রেস রাস্তায় নেমে চোর বলছে। যারা হাজার-হাজার কোটি টাকা ঘুষ খায়, তাদের চোর বলতে পারছে না। বিজেপি নেতারা সবথেকে বেশি চোর। ৩৪ বছর সিপিএম কিছু করেনি, বিজেপিও আজ পর্যন্ত কিছু করেনি। ভোট এলেই তফশিলিদের বাড়িতে ভাত খেয়ে বন্ধু সাজার চেষ্টা করে। তৃণমূলকে দেখে যারা চোর-চোর বলছে, তারা নিজেরা বড় ডাকাত। বিজেপির টাকা নিয়ে ধর্ম নিয়ে কেউ রাজনীতি করতে যাবেন না। সিপিএম বা কোনও সাম্প্রদায়িক দলের কথায় ভোট দেবেন না। সংখ্যালঘুদের সামাজিক নিরাপত্তা তৃণমূল সরকার দিয়েছে। বাংলা তৃণমূল কংগ্রেসের হাতেই রাখতে হবে। বিজেপি বাংলা থেকে বেশি আসন পেলে বিজেপির অত্যাচার বাড়বে। তাই বিজেপিকে ভুলেও একটি ভোটও দেবেন না।’