নিজস্ব প্রতিনিধি, কোহিমা: এক বঙ্গকন্যার উপন্যাসকে কেন্দ্র করে তুলকালাম নাগাল্যান্ড। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহিত্যিককে নিশানা করে একের পর এক পোস্ট, যেখানে তাঁকে জাতি বিদ্বেষী আখ্যা দেওয়া হয়েছে। নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ ওঠায় সাহিত্যিক মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্টভাবে কোনও জনজাতিকে অপমান করার অভিসন্ধি নিয়ে তিনি এই উপন্যাস লেখেননি। তবে উপন্যাসের বিষয় কাউকে আঘাত করে থাকলে তিনি তাঁর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
গল্পের নাম ভোজ, লিখেছেন দেবারতি মুখোপাধ্যায়। উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭-তে নবকল্লোল পত্রিকায়। পরে তাঁর লেখা থ্রিলারের একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। সংকলনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ভোজ। এই গল্পে রয়েছে নাগাল্যান্ডের জেসুমি উপজাতিদের একটি সংস্কার। গল্পের কাল্পনিক চরিত্র অরিন্দম এবং তৃষিত। এরা গিয়েছিল নাগাল্যান্ডের প্রত্যন্ত গ্রাম খো আং এ।
দেবারতি যা লিখেছেন, তা হবহু এখানে তুলে ধরা হল (বানান অপরিবর্তিত) – নাগাল্যান্ডের জেসুমি উপজাতি। যারা এখনও পালন করে চলে এক হাড়হিম করা প্রথা। নিজের মা বয়স্ক হয়ে গেলে তাকে কেটে খেয়ে ফেলে মা’কে শাস্তি দেয়। যে মা পেটের মধ্যে রেখে পৃথিবীতে এনেছেন, সেই মা’কে খেয়ে পেটে রাখাকেই ওরা বিশ্বাস করে পবিত্র প্রথা হিসেবে।…. এমন মেরুদণ্ড হিম করে দেওয়া জেসুমি উপজাতিদের মধ্যে গিয়ে হঠাৎই এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় অরিন্দম এবং তৃষিতকে যে ঘটনা পাল্টে দেয় ওদের জীবন। চিরতরে।
দ্য প্রিন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাহিত্যিক জানিয়েছেন, প্রথমত এই গল্পের সব চরিত্র কাল্পনিক। গল্পের প্রেক্ষাপটও কাল্পনিক। গল্পের শুরুতেই তা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ঘটনাপ্রবাহ বাস্তবের সঙ্গে মিলে গেলে তা কাকতালীয় হিসেবে ধরে নিতে হবে। তারপরেও যদি গল্পের বিষয় কাউ বা কোনও জনজাতিকে আঘাত করে থাকে, তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।