নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আম আদমি সংসার চালাতে গিয়ে যেখান চোখে সর্ষেফুল দেখছে, সেখানে ১০ বছর দেশের শাসন ক্ষমতায় থাকা বিজেপির ‘আচ্ছে দিন’ চলছে। এতটাই ‘আচ্ছে দিন’ যে দলের কোষাগার উপচে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা টাকার থলি উপুড় করে দিয়েছেন। নয়া যে তথ্য এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে নির্বাচনী বন্ড থেকে ৬ হাজার ৯৮৬.৫ কোটি টাকা ঢুকেছে ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গার’ শ্লোগান তোলা নরেন্দ্র মোদির সাধের দল বিজেপির কোষাগারে। আর লটারি কেলেঙ্কারিতে জড়িত সান্তিয়াগো মার্টিনের মালিকানাধীন ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস তামিলনাডুর শাসকদল ডিএমকে’কে ৫০৯ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
অবৈধ ঘোষিত হওয়া নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজনৈতিক দলগুলি যে মুখবন্ধ খামে তথ্য জমা দিয়েছিল, তা রবিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিন এক বিবৃতিতে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি থেকে রাজনৈতিক দলের দেওয়া তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুনানি চলাকালীন দেশের শীর্ষ আদালতে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি তথ্য জমা দিয়েছিল। তবে বিজেপি নিজেদের আয়ের কথা জানালেও কোন বান্ধব ব্যবসায়ীরা দলকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে তা জানানো হয়নি।
স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ডিএমকে-সহ বেশ কয়েকটি দল কাদের কাছ থেকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পেয়েছে তা প্রকাশ করেছে। বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির মতো দলগুলি সেই পথে হাঁটেনি। নির্বাচন কমিশন এদিন বন্ডের যে নয়া তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি মোট ৬,৯৮৬.৫ কোটি টাকা পেয়েছে। ডিএমকের কোষাগারে জমা পড়েছে ৬৫৬.৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে লটারি কিং সান্তিয়াগো মার্টিনের ফিউচার গেমিং ও হোটেল সার্ভিসেস দিয়েছে ৫০৯ কোটি টাকা। মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়েছে ১০৫ কোটি টাকা এবং ইন্ডিয়া সিমেন্টস ১৪ কোটি টাকা।