নিজস্ব প্রতিনিধি: কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরোবে? প্রমোদতরীতে মাদক কাণ্ডের জল গড়াচ্ছে বহুদূর। গত শনিবার মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ দাবি করেন, আরিয়ানের মামলাটির মূলচক্রী আসলে সুনীল নামের এক ব্যক্তি। যিনি মহারাষ্ট্রের শাসক গোষ্ঠীর শরিক ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপির ঘনিষ্ঠ। আর সেই সুনীলই রবিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি ইন্ডিয়া টুডেকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘আরিয়ানের মাদক পার্টির গোপন খবর যিনি ফাঁস করেছিলেন, তাঁর নাম নীরজ যাদব। বিজেপির জাতীয় স্তরের সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নীরজ।’ আর এই বক্তব্যেই কার্যত নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র। এমনিতেই একাধিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে নাম জড়িয়ে রয়েছে কৈলাসের। এবার মাদক কাণ্ডে তাঁর নাম জড়ানোয় বিপাকে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা।
গত ৩ অক্টোবর মুম্বইয়ের ওই প্রমোদতরীর গোপন মাদক পার্টি থেকে যখন শাহরুখ-পুত্রকে গ্রেফতার করা হয়, তখন সেখানে ছিলেন বেসরকারি গোয়েন্দা কিরণ গোসাভি এবং বিজেপি কর্মী মণীশ ভানুশালি। যাকে বারবার আড়াল করেছে খোদ এনসিবি। যদিও এদের কাউকেই চেনেন না বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সুনীল। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নই। কিরণ গোসাভিকে চিনি না। শুধু মণীশকে চিনি। শ্যাম ডি’সুজা নামের এক ব্যক্তি আরিয়ানকে সাহায্য করার কথা বলেছিলেন। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মণীশের সঙ্গে শ্যামের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। আমি সেটুকুই করেছিলাম। বাকি যা করার তা শ্যাম, মণীশ এবং কিরণরাই করেছেন।’
সুনীল এও জানিয়েছেন, আরিয়ানকে রেহাই দিতে ২৫ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের যে অভিযোগ উঠেছে, সে ব্যাপারেও তাঁর কোনও ধারণা নেই। সুনীল এও জানিয়েছেন, ‘শ্যামের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেওয়ার পর মণীশ আমাকে একটি হোটেলে বন্দি করে রেখেছিলেন। সেখানে আমাকে মারধর করেন। হুমকিও দেয় মণীশ।’