নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিজেপি একমাত্র দল যারা বিশ্বাস করে জীবনের পরম ধর্ম হল মানবসেবা। তারা পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মনে করে, ঈশ্বরের কাছে পৌঁছতে হলে নিষ্ঠা সহকারে মানুষের সেবা করতে হবে।
রবিবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে কংগ্রসকে নিশানা করে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেঁধে দিলেন তিন মন্ত্র – সেবা-সংকল্প এবং সমর্পণ। সেই সঙ্গে বাজিয়ে দিলেন আসন্ন পাঁচ রাজ্যের ভোটের দামামা।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবসেবার থেকে বড়ো ধর্ম আর কিছু হয় না। সেটা দেশবাসীর সামনে দেখিয়ে দিয়েছেন সংগঠনের হাজার হাজার সদস্য। কঠিন সময়ে তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সেবা করে গিয়েছেন। ঈশ্বরের কাছে পৌঁছতে হলে নিষ্ঠাভরে মানবজাতির সেবা করে যেতে হবে।’
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তাঁর এই বার্তার লক্ষ্য একদিকে যদি কংগ্রেস হয়, তাহলে দ্বিতীয় লক্ষ্য দলের নেতা থেকে তৃণমূলস্তরে কর্মীরাও। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাঁরা বলছেন, প্রথমত পাঁচ রাজ্যে সামনে ভোট। সুতরাং ক্ষমতায় থাকতে গেলে বা ক্ষমতা থেকে কাউকে উৎখাত করতে গেলে জনতার সমর্থন ছাড়া কোনওভাবেই তা সম্ভব নয়।
অর্থাৎ জনতা জনার্দন। গণআদালত শেষ রায় দেবে। তাই, জনতার দরবারে পৌঁছতে হবে। শুনতে হবে তাদের অভাব অভিযোগের কথা। দলীয় কর্মীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘মানুষের কাছে যান, তাঁদের পাশে থাকুন, তাঁদের কথা শুনুন।’
এদিন তাঁর ভাষণ ছিল যেমন আবেগপ্রবণ, তেমনই শোনা গেল সামান্য অনুশোচনা। দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি তাঁর দরদি বার্তা – “দলের পথচলার শুরুর দিন থেকে যাঁরা আমাদের সঙ্গে ছিল, তাদের সকলের প্রতি আমাদের সম্মান জানাতে হবে। সম্মান জানাতে হবে তাদেরকেও যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। জনতার কাছে তুলে ধরতে হবে দলের প্রতি তাদের অবদানের কথা।”
প্রধামন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ-সহ ক্যাবিনেটের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীরা।
রবিবার দুপুরে দিল্লির বৈঠকে ভারচুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন বাংলার নেতারা । একমাত্র দিলীপ ঘোষই দিল্লি গিয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।