নিজস্ব প্রতিনিধি : সহধর্মিনীকে ভূত বা পিশাচ বলা কোনও নিষ্ঠুরতা নয়। সম্প্রতি ৩০ বছরের পুরনো এক মামলার রায় দিতে গিয়ে এই কথাই জানিয়ে দিল পটনা হাইকোর্ট।
আদালতের কাছে সম্প্রতি এক মামলার প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে একজন মহিলাকে যদি কেউ ভূত বা পিশাচ বলে আখ্যা দেয়, তাহলে তা একপ্রকার নিষ্ঠুরতারই নামান্তর। এই ধরনের মন্তব্যকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। কিন্তু মামলাকারীর আইনজীবীর সঙ্গে সহমত হতে পারেননি পটনা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। তিনি জানান, আদালত মামলাকারী আইনজীবীর এই যুক্তি মানতে নারাজ। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এদিন জানান, বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়েছে, সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করা হবে সেটাই স্বাভাবিক। মামলাকারীর যাদের বিরুদ্ধে তাদের বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট করে তাঁদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, যে বিচারপতি এই রায় দিয়েছেন, সেই বিচারপতি বিবেক চৌধুরী একটা সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে পণ মেটাতে না পারায় শ্বশুর সহদেও গুপ্তা ও স্বামী নরেশ গুপ্তার বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ এনেছিলেন নরেশ গুপ্তার স্ত্রী। প্রথমে মামলাটি নওয়াদায় দায়ের করা হয়েছিল। পরে মামলাটি নওয়াদা থেকে নালন্দায় স্থানান্তরিত করা হয়। নালন্দার নিম্ন আদালত ২০০৮ সালে শ্বশুর ও স্বামীকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুর অ্যাডিশনাল সেশন কোর্টে আপিল জানিয়েছিল। কিন্তু অ্যাডিশনাল সেশন কোর্ট তা খারিজ করে দেয়। এরপর এই মামলাটি পটনা হাইকোর্টে যায়।