নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন শিবসেনা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি করায় শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে পড়লেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারভেকর। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষের উদ্দেশে বলেছে, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। কারণ এতে সংবিধানের দশম তফশিলকে লঙ্ঘন করা হবে।’ একই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সদস্যপদ খারিজের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যও বিধানসভার অধ্যক্ষকে নির্দেশও দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ১১ মে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা গোষ্ঠীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে-সহ বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারভেকারকে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। কিন্তু সেই নির্দেশের চার মাস কেটে যাওয়ার পরেও শিণ্ডে সেনার বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন উদ্ধব ঠাকরে।
তাঁর দায়ের করা মামলার শুনানিতে এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারভেকরের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘মিস্টার এসজি (সলিসিটর জেনারেল), তাঁর (মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ) এতদিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। গত ১১ মে আদালতের রায়ের পরে এতদিন তিনি কী করছিলেন?’ এর পরেই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।