নিজস্ব প্রতিনিধি, অমৃতসর: বান্ধবীর আইএস যোগ নিয়ে এমনিতেই তপ্ত পঞ্জাব। সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢাললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া। জানিয়েছেন, চান্নির আমলে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাজ্য।
বসে নেই অমরেন্দ্র শিবিরও। তারা দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে আরুশার সাক্ষাতের একটি ছবি এদিন টুইটারে পোস্ট করেছে।যদিও দলের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, টুইট করেছেন তাঁর মিডিয়া উপদেষ্টা রবীন ঠুকরাল। অমরেন্দ্রর কথা উদ্ধৃত করে তিনি লেখেন, ‘সুখজিন্দর এখন ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমেছেন। আপনার দেওয়া বড়ো বড়ো প্রতিশ্রুতির কী হল? পঞ্জাবের মানুষ তো অপেক্ষা করছেন।’
টুইটে ঠিক কী লিখেছেন সুখজিন্দর সিং?
সুখজিন্দর এদিন তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে ছিলেন আরুশা। তাঁর ভিসার মেয়াদও সময় সময় বাড়়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি কেন তাঁর ভিসা বাতিল করেনি? কেন অমরেন্দ্রর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পরই তিনি ভারত ছাড়লেন? এই সব বিষয়ই তদন্ত করে দেখা হবে। ক্যাপটেন অমরেন্দ্রকেও এর উত্তর দিতে হবে।’
টুইটেই ঠুকে জবাব দিয়েছেন অমরেন্দ্রর মিডিয়া উপদেষ্টা রবীন ঠুকরাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর জবাব, ‘সুখজিন্দর সিং এখন ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমেছেন। আপনার দেওয়া বড়ো বড়ো প্রতিশ্রুতির কী হল? রাজ্যবাসী তো অপেক্ষা করছেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, সাতের দশকে পাক সেনাশাসক ইয়াহিয়া খান-ঘনিষ্ঠ অখলিম আখতারের মেয়ে আরুশা। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সাংবাদিক হিসেবে তাঁর বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। খবর, ২০০৪ সালে পাকিস্তান সফর থেকে আরুশার সঙ্গে অমরেন্দ্রর পরিচয় ঘটে। তার পর নানা কর্মসূচিতে দু’জনকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে।