এই মুহূর্তে




বাংলায় আইনশৃঙ্খলা যথেষ্ট শক্তিশালী, সংসদে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে চাপে বঙ্গ–বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি:‌ যুবভারতী কাণ্ডের পর বঙ্গ–বিজেপির নেতারা বাংলায় আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই বলে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। এর আগেও এমন দাবি করেছিল গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তখন এনসিআরবি রিপোর্ট দিয়েছিল কলকাতা সবচেয়ে নিরাপদ শহর। এবার সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তথ্য দিয়ে জানিয়ে দিল, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় আইনশৃঙ্খলা যথেষ্ট শক্তিশালী। এই তথ্য তুলে ধরার পর বঙ্গ–বিজেপির নেতারা পড়েছেন মহাফাঁপরে। কারণ ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেছেন, সারা রাজ্যে প্রচার করা হবে বাংলার আইনশৃঙ্খলা কতটা খারাপ। আর কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, শক্তিশালী। এই আবহে বিজেপি নেতারা কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বলে সূত্রের খবর।

এদিকে বিজেপি–সহ বাংলার বিভিন্ন বিরোধী দল যতই সমালোচনা করুক কেন্দ্রের দেওয়া এই তথ্যেই প্রমাণ হয়ে গেল বাংলার আইনশৃঙ্খলা অটুট রয়েছে। এরপরও যদি বিজেপি নেতারা বাংলার আইনশৃঙ্খলা খারাপ বলে প্রচারে বের হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কেন্দ্রের রিপোর্ট নিয়ে সেখানে হাজির হবেন। এমন একটি পরিকল্পনাও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাতে বিজেপি নেতাদের মুখ পুড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, মুখ্য সচেতক নাদিমুল হকদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র যে জবাব দিল, তাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল বাংলার আইনশৃঙ্খলা সঠিক রয়েছে।

অন্যদিকে ডেরেক ও’‌ব্রায়েনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দিল, ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রবীণ নাগরিকদের উপর হওয়া একাধিক বিচারাধীন অপরাধ বাংলায় কমেছে ৫৫ শতাংশ। আমেদাবাদ, সুরাত, জয়পুর–সহ দেশের অন্যান্য শহরে যেটা ঊর্ধ্বমুখী। আর বাংলায় তা নিম্নমুখী। ২০২৩ সালে কলকাতা শহরে এমন মাত্র ৬টি অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়েছিল। আর এমন অপরাধে প্রথম তিনে রয়েছে দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ে। সুতরাং বাংলার আইনশৃঙ্খলা অবস্থা ভাল বলেই প্রমাণিত হয়েছে। এই বিষয়টিই এবার প্রচারে নিয়ে আসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এছাড়া ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই নির্বাচনে বঙ্গ–বিজেপির প্রধান অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বাংলার। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতিয়ার উন্নয়নের পাঁচালি। সাড়ে ১৪ বছরে যে উন্নয়ন বাংলায় হয়েছে তা নিয়েই মানুষের দুয়ারে ভোট চাইতে যাবে ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। তার উপর কেন্দ্রের একের পর এক শংসাপত্র এবং তথ্য তুলে ধরা হবে। যাতে বিজেপি নেতাদের মিথ্যাচার ধরা পড়ে যায়। তফসিলি জাতি এবং জনজাতিদের উপর হওয়া নানা আক্রমণ, হেনস্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন নাদিমুল হক। তখন সংসদে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালে তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের উপর নানা মামলা বাংলায় কমেছে ২১ শতাংশ। বিপরীতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সেসব বেড়ে হয়েছে ৩২ শতাংশ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৬০ কোটি প্রতারণার মামলায় মুম্বইয়ে শিল্পা শেট্টির বাড়িতে আয়কর হানা

দু’টি এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার অভিযোগে এবার ভোটারকে শোকজ ল্যাজেগোবরে হওয়া কমিশনের

ঘোমটা খোলা বিতর্ক: পাকিস্তানি ডনের হুমকির পরেই নীতীশের নিরাপত্তা বাড়ানো হল

প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা কুমার শানুর, কত টাকা দাবি গায়কের?

‘আমার সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে’, মেসির দলের ফ্যান ক্লাবের কর্তার বিরুদ্ধে লালবাজারে অভিযোগ সৌরভের

প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের পরই বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, কবে আসবেন?‌ তৎপর পদ্ম নেতারা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ