নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: আগামী ১৩ জুলাই নয়, পরের দিন ১৪ জুলাই চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩। স্থানীয় সময় দুপুর দুটো ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদ মুলুকের উদ্দেশে রওনা হবে নতুন মহাকাশ যান। বৃহস্পতিবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের (ইসরো) পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। যদিও কেন উৎক্ষেপণের দিন পিছিয়ে দেওয়া হলো, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি ইসরো। তবে সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ’১২ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল। ওই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাঁদের দেশে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩।’
চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণের তিন বছর বাদে ফের চাঁদের মুলুকে মহাকাশ যান পাঠাচ্ছে ইসরো। চন্দ্রযান-৩ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। যদিও চন্দ্রযান-২ পাঠাতে গিয়ে মুখ পোড়ায় যথেষ্টই সতর্ক ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শেষ মুহুর্তে সব কিছু খতিয়ে দেখার কাছ চলছে। চন্দ্রযান-২ এর অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে চন্দ্রযান-৩ এর সঙ্গে ল্যান্ডার এবং রোভার পাঠানো হলেও কোনও অরবিটের পাঠানো হচ্ছে না। দেশীয় উপায়ে তৈরি ল্যান্ডার মডিউল, প্রোপালশান মডিউল এবং রোভার। এই তিনটি নিয়েই তৈরি চন্দ্রযান ৩। এবার যে ল্যান্ডারটি পাঠানো হচ্ছে, তা চন্দ্রপৃষ্ঠের একটি নির্দিষ্ট স্থানে ‘সফট ল্যান্ড’ করতে সক্ষম। ল্যান্ডিংয়ের পর নামিয়ে দেওয়া হবে ‘রোভার’-কে। সেই ‘রোভার’ চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই এলাকার রাসায়নিক গঠন পরীক্ষা করে তথ্য় পাঠাবে।
২০১৯ সালের ২২ জুলাই চাঁদের দেশে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান-২। যদিও ৪৭ দিনের মাথায় চাঁদের বুকে আছড়েই পড়েছিল চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। ল্যান্ডিংয়ের সময়ে ভারসাম্য বজায় রেখে গতিবেগ কমাতে পারেনি। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ মিটার দূরে হার্ড ল্যান্ডিং হয় বিক্রমের। যার ফলে ধ্বংস হয়ে যায়। অবতরণ ব্যর্থ হলেও রোভার নামানো, ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো কাজগুলি বিক্রম করেছিল সফল ভাবেই। ৩ ডিসেম্বর বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করেছিল নাসা।