নিজস্ব প্রতিনিধি, গুয়াহাটি: একদিকে অসমে শুরু হয়েছে নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করতে অভিযান। সমান্তরালভাবে শুরু হয়েছে আত্মহত্যা। এখনও পর্যন্ত দুটি আত্মহত্যার খবর পাওয়া গিয়েছে। একটি কাছার জেলায়। দ্বিতীয়টি গোলকগঞ্জে।
একটি ঘটনায় এক নাবালিকা বাড়ির লোক জানিয়ে দেয়, কোনওভাবেই তারা বিয়ে দেবে না। বিয়ে দেওয়ার খবর সরকারের কানে গেলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাবে। পরিবারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি ওই নাবালিকা। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে।
দ্বিতীয় ঘটনার ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের পরিবার তার পছন্দের পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল। হিমন্ত বিশ্বশর্মার নীতি পুলিশ তাঁর স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। স্বামীকে ছাড়াতে সেও গিয়েছিল থানায়। পুলিশকর্মীদের বলে, কোন অধিকারে তাঁর স্বামীকে আটকে রাখা হয়েছে। স্বামীকে আটকে রাখার অধিকার মুখ্যমন্ত্রীকে কে দিল? তাঁর জন্ম ১৯৯৯-তে। আর বিয়ে হয়েছে ২০১৮-তে। সুতরাং, সে সাবালিকা। স্বামী এবং বাবাকে এখনই না ছাড়লে এখানেই গলায় বিষয় ঢেলে আত্মহত্যা করবে। পুলিশ মনে করে, ওই কন্যা নিছক হুমকি দিচ্ছে। আত্মহত্যা করবে না। ওই ধারণা যে ভুল, সেটা প্রমাণ হল মুহূর্তে। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে তরুণী।
অসম সরকারের ওই সিদ্ধান্ত যে ব্যুমেরাং হয়ে উঠবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির চাপে পড়ে কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেয় পরিবারের লোক। অসম সরকার অভিযান চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন ‘দম্পতির ঘরে অসম সরকার’, যৌনজীবনে টানল লক্ষ্মণ রেখা