28ºc, Haze
Monday, 27th March, 2023 10:07 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, গুয়াহাটি: সিঙা ফুঁকে মুক্তরাম।
এবার অসমবাসীর ‘যৌন জীবনে’ও ঢুকে পড়ল রাজ্যে আসীন শাসকদল। বেঁধে দিলেন বিবাহিতাদের মা হওয়ার বয়স সীমাও। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, ১৪ বছর বা ১৪ বছরের নীচে বিবাহিত কন্যার সঙ্গে স্বামীর যৌনসম্পর্ক স্থাপনে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে সেই পুরুষের বিরদ্ধে আইননানুগ পদক্ষেপ করা হবে। যে সব বিবাহিত পুরুষ ইতোমধ্যে ১৪ বছর বা তার কম বয়সীকে বিয়ে করে তাঁকে মাতৃত্বের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছে, তাদের সকলকে গ্রেফতার করে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে। দরকারে যাবজ্জীবন সাজা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে পদ্মশিবির খুশি হলেও রাজ্যে বিরোধীদল এবং সুশীল সমাজ রীতিমতো অসন্তুষ্ট।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগমী পাঁচ থেকে ছয় মাস রাজ্যজুড়ে চলবে অভিযান। রাজ্য সরকার সেই সব পুরুষদের গ্রেফতার করবে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, প্রত্যেক মহিলাই চায় মা হতে। আর মা হওয়ার উপযুক্ত বয়স ২২ থেকে ৩০ বছর। বেশি বয়সে মা হলে সমস্যা থাকেই। তার মানে এই নয় কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে তাদের মাতৃত্বের স্বাদ পাইয়ে দেওয়া।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে সমালোচনা।অনেকে বলছে, আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির চাপেই মেয়ের বাবা বাধ্য হয়ে নাবালিকাদের বিয়ে দেন। আইন স্বাগত। কিন্তু তাদের আর্থিক অবস্থার সুরাহা না করেই সরকার সিঙা ফুঁকে জানিয়ে দিল – এসব চলবে না। এটাই সরকারের দায়িত্ব। সরকার কারণ ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করতে পারে নাকি।