নিজস্ব প্রতিনিধি : গতকালই আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণিকে সংরক্ষণের আওতায় আনার পক্ষে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সিলমোহরর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । এরপর মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় আক্রান্তদের জন্য ডাক্তারি শিক্ষায় সংরক্ষণ চালুর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষ থেকেই এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের জন্য জঙ্গি হামলায় নিহতদের সন্তানদের ক্ষেত্রে এই সংরক্ষণ চালু হতে চলেছে।
জানা যাচ্ছে, যাঁরা সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন, তাঁদের প্রতি সম্মান দেখাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিহতদের আত্মীয়দের মধ্যে তাঁদের সন্তানদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, যাঁদের বাবা ও মা দু’জনই জঙ্গি হানায় মারা গিয়েছেন, যাঁদের পরিবারের রোজগারকারীর মৃত্যু হয়েছে জঙ্গিদের হাতে এবং যাঁরা জঙ্গি হামলায় স্থায়ীভাবে পঙ্গু অথবা গুরুতর চোট পেয়েছেন তাঁদের এই সংরক্ষণের আওতায় রাখা হবে। কেবল জম্মু ও কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই নন, এখানে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কর্মীদেরও এই সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর গত কয়েক বছরে জঙ্গি হামলা বেড়ে গিয়েছে। জঙ্গি হামলার জেরে প্রায় সব কাশ্মীরি পণ্ডিতই উপত্যকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফলে আরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উপত্যকার সংখ্যালঘুরা। সম্প্রতি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছে তাঁদের।
গত বৃহস্পতিবারই কাশ্মীরে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনা। কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় এই তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার আগেই তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে। অন্যদিকে, দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় জঙ্গিদের গুলিতে আহত হন এক ব্যক্তি। কেন্দ্র যতই দাবি করুক না কেন, কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় রাশ টানা সম্ভব হয়নি। কাশ্মীরের সংখ্যালঘুরাও বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় ডাক্তারি শিক্ষায় জঙ্গি হানায় নিহতদের সন্তানদের সংরক্ষণের আওতায় এনে উপত্যকার সংখ্যালঘুদের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করল কেন্দ্র।