নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরল : আজ কন্যাকুমারী থেকে রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে কংগ্রেসের বহু চর্চিত ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সূচনা হচ্ছে। বিকেল পাঁচটার সময় এই যাত্রার সূচনা হবে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ এনে কন্যাকুমারী থেকে পদযাত্রা করছে হাত শিবির। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু থেকে কন্যাকুমারীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন রাজীব তনয়।
৩৫০০ কিমি যাত্রাপথ। ১২টি রাজ্য ও দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এই হল কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ কর্মসূচির যাত্রাপথ। রাহুল গান্ধি সহ কংগ্রেসের ১৫০ জন নেতা-কর্মী গোটা যাত্রাপথে হাঁটবেন। ইদানীংকালে এত লম্বা পদযাত্রা শুধু কংগ্রেস নয়, কোনও দলই করেনি। এই কর্মসূচিতে সব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরা রাহুলের সঙ্গে হাঁটবেন। এছাড়া কংগ্রেসের একাধিক পদাধিকারীরাও থাকবেন। প্রতিদিন গড়ে ছ’থেকে সাত ঘণ্টা হাঁটবেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। রাত কাটাবেন কোনও তারকাখচিত হোটেলে নয়, রাস্তার ধারে তাঁবু খাটিয়ে। এদিন কন্যাকুমারী যাওয়ার আগে রাহুল তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবাদুরে রাজীব গান্ধির নিহতস্থলে গিয়ে সেখানে স্মারকস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন রাহুলের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গোটা যাত্রাপথে কোথাও দলের পতাকা ব্যবহার করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্ব।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের মরা গাঙে বান আনতে মূলত রাহুলের উদ্যোগেই এই পদযাত্রার কর্মসূচি। এই পদযাত্রা সম্পর্কে রাহুল আগে জানিয়েছিলেন, এই যাত্রা তাঁর কাছে ‘তপস্যা’র মতো। বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগ, বিজেপি গোটা ভারতে বিভাজনের রাজনীতি, মেরুকরণের রাজনীতি কায়েম করেছে। এর পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব প্রভৃতি নিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাহুল। কংগ্রেসের এই কর্মসূচিকে ইতিমধ্যেই সমর্থন করেছেন আন্না হাজারের পুরনো সহকর্মীরা। দিল্লির সুশীল সমাজ জানিয়েছে, তাঁরা এই পদযাত্রায় যোগ দেবেন।