নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলং: বুথ ফেরত সমীক্ষাকে সত্যি হলো মেঘালয়ে। সরকার গঠনের মতো ম্যাজিক ফিগার পৌঁছতে পারেনি কোনও দলই। গতবারের চেয়ে আসন বাড়লেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। আর ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই মেঘের রাজ্যে নতুন সরকার গঠন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তৎপরতা। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক জোগাড় করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করে সমর্থন চাইলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। সূত্রের খবর, সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টিকে সরকার গঠনের জন্য সমর্থন জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভায় ৫৯ আসনে ভোট নেওয়া হয়। এদিন সকালে ভোট গণনার সঙ্গে সঙ্গেই স্পষ্ট হয়ে যায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার পাচ্ছে না কোনও দলই। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেল মেঘালয় বিধানসভার ভাগ্য ত্রিশঙ্কু হয়েছে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি পেয়েছে ২৬টি আসন। ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির (ইউডিপি) ঝুলিতে গিয়েছে ১১টি আসন। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে পাঁচটি করে আসনে। ভয়েস অফ পিপলস পার্টি চারটি আসনে জিতেছে। বিজেপি জিতেছে দুটি আসনে। বাকি ছয়টি আসন গিয়েছে নির্দল ও অন্যান্যদের দখলে।
ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলেও সরকার গড়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। সরকার গঠনের জন্য পাঁচ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। বিজেপির দুই বিধায়কের সমর্থন পাওয়া গেলে বাকি তিন বিধায়কের সমর্থন দরকার হবে। ওই সমর্থন আদায় করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী পি এ সাংমার পুত্র।