নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ মঙ্গলবার ছিল শেখ হাসিনার ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন৷ মঙ্গলবার সেই সফরের অংশ হিসাবে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে৷ তার পরেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করেন শেখ হাসিনা৷ উল্লেখ্য, গান্ধি-নেহরু পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।
যখনই ভারতে আসেন, তখনই ইন্দিরা গান্ধির পরিবারের কারও না কারওর সঙ্গে দেখা করেন হাসিনা। তিন বছর আগে যখন শেষবার ভারত সফরে এসেছিলেন হাসিনা, তখনও রাহুল ও প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুজিব-কন্যা। ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। মুজিব হত্যার পর হাসিনার গোটা পরিবারকে দিল্লিতে আশ্রয় দেন ইন্দিরা। দীর্ঘদিন তাঁরা দিল্লিতে ছিলেন। সেই থেকে গান্ধি-নেহরু পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ রয়েছে হাসিনার। যার জন্য কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলেও দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কে এতটুকু চিড় ধরেনি। এই সাক্ষাৎ নিয়ে দু’জনের কেউই মুখ খোলেননি। জানা গিয়েছে নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল এটি।
তার আগে ভারত সফরের মাঝেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের নামও শোনা যায়৷ হাসিনা বলেন, ‘‘ও (মমতা) আমার বোনের মতো, আমি ওঁর সঙ্গে যখন খুশি দেখা করতে পারি৷ আমাদের সবসময়ই একটি ভাল সম্পর্ক আছে৷’’ সোমবার বিকেলে সরাসরি দিল্লিতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী৷ সোমবারই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন আদানি কর্তা গৌতম আদানি৷ তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি বা রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে হাসিনা বলেন, ‘‘ভারত অনেক বড় দেশ৷ ভারত এই সমস্ত বিষয়ে অনেক কিছু করতে পারে৷’’ তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এটাও বলেন যে আন্তর্জাতিক যে সমস্ত নদী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, সেগুলিকে উভয় দেশের তৎপরতায় কী করে প্রবাহিনী রাখা যায়, কী করে এর নাব্যতা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে দুই দেশকেই কাজ করতে হবে৷