নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অমিত শাহ দায়িত্ব নেওয়ার পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কার্যত বিরুদ্ধ কণ্ঠস্বরকে নির্মমভাবে দমনের পথে নেমেছে বলে অভিযোগ সংবাদমাধ্যমের একাংশের। সেই অভিযোগকে কার্যত স্বীকৃতি দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার কেরলের এক টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স বাতিল নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে তুলোধনা করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সমালোচনা মানে যে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা কিংবা দেশের বিরোধিতা নয় তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ওই চ্যানেলের সম্প্রচারের ওপরে নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দিয়েছেন।
কেরলের ‘মিডিয়া ওয়ান’ নামে বৈদ্যুতিন টিভি চ্যানেলটি বরাবরই গেরুয়া শিবিরের ধর্মের বিষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে সরব। সমাজের পিছিয়ে পড়া ও সংক্যালঘু মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে দাঁড়ানো চ্যানেলটি তাই বিজেটপি নেতৃত্বের কাছে চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই পেড়ে চ্যানেলের লাইসেন্স নবীকরণ না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেঅশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
এদিন ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তুঘলকি সিদ্ধান্তকে তুলোধনা করে বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনাকে কখনই দেশ বিরোধিতা কিংবা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার তকমা সাঁটিয়ে দেওয়া যায় না। গণতন্ত্রকে জাগিয়ে রাখার স্বার্থে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অতি জরুরি।জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত পেড়ে সাধারণ মানুষকে কখনই তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।’ দেশের শীর্ষ আদালতের এদিনের রায় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও তাঁর ‘ক্রীতদাস’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজেপি বান্ধব আধিকারিকদের গালে বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় কষিয়েছে বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।