এই মুহূর্তে




দশক পরে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে দেশের বিরোধী দলনেতা, রাহুলের ঠাঁই হল পিছনের সারিতে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু দিল্লির(New Delhi) লালকেল্লায়(Red Fort) উড়িয়েছিলেন স্বাধীন দেশের পতাকা। তারপর থেকে প্রতিবছর ১৫ অগস্ট(Independence Day) সকালে দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতকা উত্তোলন করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে প্রোটোকল(Protocol) মেনে উপস্থিত থাকেন দেশের বিরোধী দলনেতাও(Country’s Opposition Leader)। মানে লোকসভার বিরোধী দলনেতা। গত ১০ বছর ধরে লালকেল্লার সেই অনুষ্ঠানে কিন্তু দেখা মিলছিল না কোনও বিরোধী দলনেতার। কেননা ওই ১০ বছরে দেশে না ছিল কোনও বিরোধী দল, না ছিল কোনও বিরোধী দলনেতা। কিন্তু এইবছর সেই ছবি বদলালো। লালকেল্লার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি(Rahul Gandhi)। তবে সেই উপস্থিতিও সম্পূর্ণ বিতর্ক বিহীন হল না।

আরও পড়ুন, শান্তনু সেনকে দলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল

কিসে বিতর্ক? এদিন অর্থাৎ ১৫ অগস্ট সকালে দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে এবার যেহেতু বিরোধী দলনেতা রয়েছেন, তাই প্রটোকল মেনে কেন্দ্র সরকারের তরফে রাহুল গান্ধিকেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে এদিনের অনুষ্ঠানে হাজিরও হন রাহুল। দেখা যায় সাদা কুর্তা পাজামা পরে রাহুল বসে আছেন অতিথিদের জন্য নির্দিষ্ট গ্যালারির একদম পিছন দিকে। আর তা নিয়েই বাঁধে বিতর্ক। কেন রাহুলকে পিছনের দিকে বসানো হয়েছে তা নিয়েই উঠে যায় প্রশ্ন। কেননা প্রোটোকল অনুযায়ী সামনের সারিতেই বসাতে হয় দেশের বিরোধী দলনেতাকে। অটলবিহারী বাজপেয়ী যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন ১৫ অগস্টের অনুষ্ঠানে অতিথিদের সামনের সারিতেই বসানো হত সোনিয়া গান্ধিকে। কিন্তু মোদি জমানায় সেই শিষ্টাচারও মানা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন, পুরো হাসপাতাল জ্বালিয়ে রোগীদের পুড়িয়ে মেরে ফেলা ছিল উদ্দেশ্য

যদিও পরে রাহুলকে পিছনের সারিতে বসানোর ঘটনায় মুখ খুলেছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাঁদের দাবি, এবারের অনুষ্ঠানে সদ্য সদ্য প্যারিসে সমাপ্ত হওয়া অলিম্পিক্সে পদক জয়ীদের বসানো হয়েছিল তাঁদের সম্মান জানাতে। তাঁদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দিতে। আর সেই জন্যই বিরোধী দলনেতাকে পিছনের সারিতে আসন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে এবারেও সামনের সারিতে বসানো হয়েছিল দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে বেশ জোরালো ভাবে, তা সে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যে যুক্তিই দেখা না কেন, দেশের গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান দুই স্তম্ভ হল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা। এদিনের অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বসানো হল সামনের সারিতে, আর বিরোধী দলনেতার ঠাঁই হল পিছনের সারিতে! জায়গার অভাব, নাকি উন্নত মানসিকতার অভাব, প্রশ্নের মুখে মোদি সরকার।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়েতে বড় গর্ত, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের দায়ে বরখাস্ত ১ কর্মকর্তা

কাজের অত্যাধিক চাপে মার্কিন সংস্থায় কর্মরত তরুণীর মৃত্যু, তদন্ত শুরু কেন্দ্রের

MBBS-এ ভর্তির জন্য জালিয়াতি, ‘ধর্ম পরিবর্তন’ করে বিপাকে ১৭ শিক্ষার্থী, ৯ পলাতক

পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ভারত সরকারকে তলব করল মার্কিন আদালত

সব জায়গায় নয় ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান, কড়া বার্তা ভাগবতের

কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর