নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় নিহত অঞ্জলি সিংয়ের পরিবার। সোমবার রাতে রাজধানীর মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন অঞ্জলির মামা। এদিনই অবশ্য তিন চিকিৎসকের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। যদিও রিপোর্ট নিয়ে মুখ খোলেননি কেউ। অঞ্জলির দেহ সংস্কারের বিষয়ে তাঁর পরিবারের সিদ্ধান্তে খানিকটা চাপে পড়ে গেল দিল্লি পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নেমেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তরুণীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তদন্তের রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বর্ষবিদায়ের শেষ দিন অর্থাৎ শনিবার রাতে স্কুটি চেপে ফেরার পথে অঞ্জলি সিং নামে এক তরুণীকে সুলতানপুরীতে ধাক্কা মারে বেপরোয়া গতির একটি গাড়ি। চাকায় আটকে যান তিনি। ওই অবস্থায় তাঁকে টেনে-হিঁচরে নিয়ে যেতে থাকে গাড়িটি। প্রায় ১৩ কিলোমিটার ছ্যাঁচড়াতে-ছ্যাঁচড়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের টহলদারি ভ্যান আশঙ্কাজনক অবস্থায় অঞ্জলিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি। খোদ দেশের রাজধানীতে এমন ঘটনা নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘাতক গাড়ি সহ ঘটনার সময়ে গাড়িতে থাকা চালক সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও প্রথমে মর্মান্তিক ঘটনাটিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন দিল্লি আউটার ডিভিশনের ডিসি হারেন্দ্র সিং। আর তাঁর ওই মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় যে পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাদের ফাঁসি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দাবি জানিয়েছেন অঞ্জলির মামা।