নিজস্ব প্রতিনিধি: লে হালুয়া, আর খাবি ভায়াগ্রা(Viagra)! ২০ দিন ধরে খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে, আর নামছেই না। হাল ছেড়েছেন চিকিৎসকেরাও। অপারেশন(Operation) করেও কিছু হয়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, ও আর নামবেও না। আগেকার স্বাভাবিক অবস্থাতেও আর ফিরবে না। খাড়া হয়েই থেকে যাবে সারাজীবন। তাই সারাজীবনই পড়তে হবে আটোসাঁটা প্যান্ট যা শরীর চেপে বসে থাকবে। হালকা কাপড়ের প্যান্ট পড়লেই কিন্তু সবাই দেখবে, আছে খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে। অচেনা পাবলিক তো আর অতসত ভাববে না, দেবে র্যানডাম ক্যালাই। কেননা তাঁদের ধারনা হবে এ ব্যাটা নিশ্চয় কাউকে রেপ করার ধান্দা নিয়ে ঘুরছে, নাহলে এখুনই কাউকে রেপ করবে। অতএব ধরে ক্যালাও এখনই। মানে উদোম ক্যালানির জেরে মৃত্যুর আশঙ্কা। আর এসব শুনে, দেখে এখন মাথায় হাত পড়েছে উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) এক যুবকের(Youth)। সবই ভায়াগ্রা এফেক্ট দাদা। লজ্জা পাবেন না।
এ দেশে আমজনতা বরাবর ঘোমটা ঢেকে খ্যামটা নাচতে বেশি পছন্দ করেন। তাই সব সময়া খালি রাখঢাক। এদিকে পেটে আছে গভীর খিদে। সেক্স এডুকেশনের কথা উঠলেও সঙ্গে সঙ্গে গেল গেল রব। এদিকে ছেলে বন্ধুর কথা শুনে মুঠো মুঠো ভায়াগ্রা খেয়ে বেড়াচ্ছে সেদিকে কারওর হুঁশ নেই। কিন্তু মুঠো মুঠো ভায়াগ্রা খেলে কী হতে পারে তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন যোগীরাজ্যের প্রয়াগরাজের(Prayagraj) এক যুবক। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের লিঙ্গ শিথিলতার সমস্যা ছিল আগে থেকেই। কিন্তু তা সময়মতো চিকিৎসা করলে তা সেরেও যেত। কিন্তু সে পথে হাঁটা দেয়নি ওই যুবক। বরঞ্চ নিজের সমস্যা লুকিয়ে বিয়ে করে ফেলে সে। কেননা কোনও এক বন্ধু দিয়েছিল পরামর্শ, বিয়ে করে ফললে এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বউ রোজ জড়িয়ে ধরে কাছে নিয়ে শুলেই সব শিথিলতা দূর হয়ে যাবে। অতএব বিবাহ আর বউয়ের কাছে ধরা পড়া। নিত্যদিন বউয়ের শরীরে আগুন লাগলেও ইনি থাকেন নেতিয়ে।
শেষে বউ বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার কথা বললে আবারও বন্ধুর শরাণাপন্ন হল যুবক। তার কথা শুনে শুরু হল এবার ভায়াগ্রা খাওয়ার পালা। কিন্তু অতি উৎসাহে মুঠো মুঠো ভায়াগ্রা খেয়ে হয়ে গেল অন্য বিপদ। ভায়াগ্রার দৌলতে লিঙ্গ উত্থিত হয়ে বীর্যস্খলন হলেও উত্থিত লিঙ্গ আর শিথিল হচ্ছিল না কিছুতেই। টানা ২০ দিন ধরে সেই লিঙ্গ খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পরে বাধ্য হয়ে সেই যুবক যায় হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে। সব দেখেশুনে চিকিৎসকেরা অপারেশন করার বিহিতও দেন। কিন্তু সেই অপারেশনের পরেও সমস্যা মেটেনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের লিঙ্গ আর কোনওদিনই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না। লিঙ্গোত্থানের বিষয়টি পাকাপাকি ভাবেই থেকে যাবে। তবে যৌনতার ক্ষমতা নষ্ট হবে না। পূর্ণ সঙ্গমের ক্ষমতা থাকবে ওই যুবকের। জন্ম দিতে পারবে সে নিজ সন্তানেরও। কিন্তু এতকিছুর পরেও শেষরক্ষা হয়নি। বউ চলে গিয়েছে বাপের বাড়িতে। জানিয়েছে আর ফিরবে না।