নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিতর্ক চলছেই। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ পরিস্থিতি আরও জটিল করে দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে দেশের শাসকদল বিজেপির সঙ্গে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শিল্পপতিদের যোগাযোগ আড়াল করতেই ইচ্ছাকৃতভাবে অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক। আর ওই নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার দাবি জানালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর কথায়, ‘নির্বাচনী বন্ড বিক্রি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হোক।’
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচনী বন্ড নিয়ে প্রকাশ্যে আসা তথ্যেই স্পষ্ট, যে সব ব্যবসায়ীর বাড়ি কিংবা প্রতিষ্ঠানে ইডি বা সিবিআই হানা হয়েছিল, তারাই কোটি-কোটি টাকা দিয়ে বন্ড কিনেছেন। মোদি সরকার ওই ব্যবসায়ীদের বিজেপির তহবিলে হাজার-হাজার কোটি টাকা ঢালার জন্য চাপ তৈরি করেছে। কীভাবে বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের ৫০ শতাংশই অনুদান হিসাবে পেল, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ স্লোগানকে ব্যঙ্গ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘কিভাবে বিজেপির কোষাগার ভরে উঠেছে তা নির্বাচনী বন্ড তথ্যেই স্পষ্ট। বিজেপি যেখানে ৫০ শতাংশ অনুদান পেয়েছে, সেখানে বাকি দলগুলি সবাই মিলে ৫০ শতাংশ পেয়েছে। এর চেয়ে বড় খাউঙ্গার উদাহরণ আর কী হতে পারে?’ আয়কর দফতরের তরফে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার প্রসঙ্গ তুলে খাড়গে বলেন, ‘কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থক আর জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের পকেট থেকে দলকে চাঁদা দিয়েছেন। সেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। অথচ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাজার-হাজার কোটি টাকা আদায়ের পরেও বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধের হিম্মৎ দেখাতে পারেনি আয়কর দফতর কিংবা ইডি। এতেই প্রমাণিত কীভাবে দেশের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বিজেপির লেজুড় সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’