নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মণিপুরে জাতি হিংসা নিয়ে মোদি সরকারের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিবৃতি। উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যে মাসাধিককাল ধরে চলা হিংসার ঘটনাকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করেছে বিজেপির রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত সঙ্ঘ নেতৃত্ব। রবিবার এক বিবৃতিতে সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবালে বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে হিংসা ও বিদ্বেষের কোনও জায়গা নেই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আলোচনার মাধ্যমেই যে কোনও সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।’
মেইতেই সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ৩ মে থেকে মণিপুরে অশান্তির আগুন জ্বলছে। কার্যত দেড়মাস ধরে চলা বেলাগাম হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে ল্যাজেগোবরে হচ্ছে সেনাবাহিনী থেকে রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগ বাড়িয়ে হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে ফেলেছেন। শুধু আমজনতাই নয়, হিংসার আগুন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না রাজ্য এবং কেন্দ্রের মন্ত্রীরা। গত কয়েকদিনে একের পর মন্ত্রীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন দুষ্কৃতীরা। বাস্তব চিত্র বলছে, মণিপুর দুষ্কৃতী আর অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। লাশের পাহাড় জমেছে। ইতিমদ্যেই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
গত শনিবারই মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য আরএসএস আর বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছিল কংগ্রেস। আর তার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য নিয়ে মুখ খুলেছে সঙ্ঘ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্তেয় হোসাবালে রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গত ৩ মে চূড়াচন্দ্রপুরে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে মণিপুরে যা চলছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে যে কোনও বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি সম্ভব। সেই পথেই এগোতে হবে।’