নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাথায় রয়েছে ঋণের বোঝা । তাই মহারাষ্ট্র বিধানসভার সামনেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক কৃষক। সীতাবুলদী থানার ইন্সপেক্টর নরেন্দ্র হিউরে জানিয়েছেন এই ঘটনাটি মঙ্গলবার ঘটেছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন বর্তমানে নাগপুরের বিধান ভবনে চলছে।জানা গিয়েছে, ইয়াবতমালের মহাগাঁও তহসিলের মুরাত জাহাঙ্গীরের বাসিন্দা শচীন উত্তম বাহাদুরে। সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সংবিধান স্কোয়ারে এসে শার্টের নীচে লুকিয়ে রাখা বোতল থেকে কীটনাশক পান করেন। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মীরা তাকে দ্রুত ধরে মেয়ো হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তাঁকে হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি করা হয়েছে। বাহাদুরের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কাগজ। সেখানে সে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন যে তিনি ফসলের ক্ষতি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের জন্য উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যেই এই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সীতাবুলদী থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্রে ২,৩৬৬ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। অমরাবতী রাজস্ব বিভাগে ৯৫১ জন, ছত্রপতি সম্ভাজিনগর বিভাগে ৮৭৭ জন, নাগপুর বিভাগে ২৫৭ জন, নাসিক বিভাগে ২৫৪ জন এবং পুনে বিভাগে ২৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এনিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী অনিল ভাইদাস পাতিল বলেন, “আত্মহত্যাকারী কৃষকদের পরিবারকে রাজ্য সরকার এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।“
অন্নদাতাদের করুণ অবস্থার ছবি ধরা পড়েছে খোদ সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যানে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের অগস্ট পর্যন্ত সে রাজ্যের ১৪,৫৯১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।কৃষক আত্মহত্যার নিরিখে দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে মহারাষ্ট্রের নাম উপরের দিকে। ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় ১২ হাজার কৃষক আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে আগেই সরকার জানিয়েছিল। মূলত ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে না পারা ও শস্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়া আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। তবে সরকার ঋণ মুকুব করলেও কেন কৃষক মৃত্যু হচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।