নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে চিতার মৃত্যুমিছিল কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার দু’মাস বয়সী এক চিতা শাবকের মৃত্যু হয়েছে। নামবিয়া থেকে আনা স্ত্রী চিতা জ্বালা গত মার্চে যে চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল মৃত চিতা শাবক তার মধ্যে একটি। এ নিয়ে গত দুই মাসে চার-চারটি চিতা মারা গেল। কী কারণে দু’মাস বয়সী চিতা শাবকের আচমকা মৃত্যু হলো, তা জানা যায়নি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘চিতা শাবকটির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প ‘প্রজেক্ট চিতা’র অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া থেকে ২০টি চিতা আনা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো অভয়ারণ্যে। আরও ৩০টি চিতা আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুনোর অরণ্যে আদৌ ২০টি চিতাকে সঠিকভাবে পালন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যানের অপসারিত প্রধান যাদবেন্দ্রনাথ ঝালা। তাঁর আশঙ্কা যে কতটা সত্যি, তা হাড়ে-হাড়ে প্রমাণ হচ্ছে।
গত ২৭ মার্চ কিডনিতে সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা পাঁচ বছর বয়সী স্ত্রী চিতা শাসার। আর তার এক মাস যেতে না যেতে গত ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা উদয়। পুরুষ চিতাটির মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ‘কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর’-কে। গত ৯ মে মৃত্যু হয় দক্ষ নামে আরও এক চিতার। যৌন মিলনের জন্য এক নম্বর খাঁচা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল দক্ষকে। আর সাত নম্বর খাঁচা থেকে বায়ু ও অগ্নি নামে দুই পুরুষ চিতাকে ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই হিংস্র হয়ে দক্ষকে আক্রমণ করে দুই পুরুষ চিতা। গুরুতর জখম হয় দক্ষ। কিন্তু চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। দক্ষের মৃত্যুর ১৫ দিন যেতে না যেতেই ফের এক চিতা শাবকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদির স্বপ্নের চিতা প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।