নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রাজধানীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুধু বেলাগাম হয়েই ওঠেনি, নতুন করে প্রাণঘাতীও হয়ে উঠেছে। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ ফের হাজারের গণ্ডি যেমন টপকেছে, তেমনই মারণ ভাইরাসের ছোবলে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে মৃত্যুমিছিল শুরু হওয়ায় অশনিসঙ্কেত দেখছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীতে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ বেলাগাম হয়ে উঠতেই ফের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার না করলে জরিমানা আদায়েরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মারণ ভাইরাসের হাত থেকে স্কুল পড়ুয়াদের বাঁচাতে শুক্রবারই বিশেষ গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও স্কুলের কোনও শাখা কিংবা শ্রেণির একজন পড়ুয়াও যদি সংক্রমিত হয়, তাহলে ওই শাখা কিংবা শ্রেণি সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দিতে হবে।
গত বুধবারই দীর্ঘদিন বাদে দেশের রাজধানীতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। তাছাড়া উদ্বেগ বাড়িয়েছিল মৃত্যু। দীর্ঘদিন বাদে করোনার ছোবলে মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছিল দিল্লি। যদিও বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমণ আগের দিনের চেয়ে সামান্য নিম্নমুখী ছিল। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৬৫ দিন। কিন্তু সেই স্বস্তি ২৪ ঘন্টাও থাকল না। শুক্রবার রাতে দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৪২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন দুইজন। শনাক্তের হার বা পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।’