নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: শেয়ারবাজারে লাগাতার অস্থিরতা চলছে। আর ওই অস্থিরতায় যে সংস্থাগুলির ভরাডুবি ঘটেছে তার মধ্যে রয়েছে গৌতম আদানির মালিকাধীন একাধিক সংস্থা। গত ২৪ ঘন্টায় আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে ধস নামায় প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা সম্পত্তি কমেছে বিতর্কিত ব্যবসায়ীর। আর তার ফলে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরদের তালিকায় বড়াড় পতন ঘটেছে গৌতম আদানির। এক ধাক্কায় ১২তম স্থান থেকে ১৫ নম্বরে নেমে গিয়েছেন।
সম্প্রতি একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তের খবর প্রকাশিত হয়। বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ওই তদন্ত চলছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। আর তাতেই প্রমাদ গুনেছেন আদানি গোষ্ঠীতে বিনিয়োগকারীরা। আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি পাওয়ার-সহ বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। আদানি গোষ্ঠীর তরফে মারকিন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তের বিষয়টি সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিনিয়োগকারীদের মনে আস্থা ফেরানো যায়নি।
‘ব্লুমবার্গ বিলিওনিয়র ইনডেক্স’ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় শেয়ারবাজারে আদানি গোষ্ঠীর ভরাডুবির কারণে ২০৪ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা)সম্পদ খুঁইয়েছেন গৌতম আদানি। ওই বিপুল পরিমাণ সম্পদ হারানোর ফলে গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫.৬ আরব ডলার। আর তাতেই বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় এক ধাক্কায় ১২ নম্বর থেকে ১৫ নম্বরে নেমে গিয়েছেন তিনি। গত ২৪ ঘন্টায় ইলন মাস্ক, মার্ক জুকারবার্গদেরও সম্পদ কমেছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সম্পদ খুঁইয়েছেন গৌতম আদানি।